Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামের দ্বিতীয় না আরামবাগের প্রথম

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্পোর্টস রিপোর্টার : স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। আর আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ এবারই প্রথম এ আসরের ফাইনাল খেলছে। এখন দেখার বিষয় টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় না আরামবাগ প্রথম শিরোপা জয় করবে। ফুটবলপ্রেমীদের এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে আজ ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মাঠে নামছে চট্টগ্রাম আবাহনী ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ঘরোয়া ফুটবলে শিরোপা জেতার রেকর্ড নেই আরামবাগের। তবে নিজেদের ৬০ বছরের ইতিহাসে তারা তিনবার ফেডারেশন কাপের রানার্সআপ ট্রফি ঘরে তুলেছে। এবার আরেকটি কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আরামবাগ। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে জিতলে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ঘরে তুলতে পারবে তারা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনী গেল ক’মৌসুম বড় দলের আখ্যা পেয়ে আসছে। স্বাধীনতা কাপের গেল আসরে শিরোপা জেতা ছাড়াও ২০১৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের রানার্সআপ দলটি। যদিও এবার প্রিমিয়ার লিগে ব্যর্থ হয়েছে চট্টগ্রাম। তবে তাদের সামনে রয়েছে স্বাধীনতা কাপের দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি। টুর্নামেন্টের ফাইনালকে সামনে গতকাল বিকালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মিডিয়ার মুখোমুখী হয় দু’দল। তাদের চোখ শিরোপায়। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান আরামবাগ কোচ মারুফুল হক ও অধিনায়ক আবু সুফিয়ান সুফিল এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু ও অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানা। ফাইনালে নিজ নিজ দলকে এগিয়ে রাখেন তারা।
আরামবাগের কোচ মারুফুল হক বলেন,‘সীমিত সামর্থ্যরে মধ্যে ক্লাব কর্মকর্তারাকে আমাকে সর্বাতœক সাহায্য করেছেন। দশ লাখ টাকা দিয়ে জিপিএস সিস্টেম কিনে দিয়েছেন। যা আমার ট্রেনিংয়ে মূল শক্তি হিসেবে কাজে এসেছে। যদিও লিগের প্রথম লেগে আমরা ভালো করতে পারিনি। তবে সুফল পেয়েছি দ্বিতীয় লেগে। এই লেগে আমরা ১৪ পায়েন্ট পেয়ে রেলিগেশন এড়িয়েছি। আর স্বাধীনতা কাপে যোগ্য দল হিসেবে ফাইনাল খেলছি। ফাইনালে আমার দলকেই এগিয়ে রাখছি আমি। আশাকরি ছেলেরা জয় নিয়েই ফিরবে।’ তিনি যোগ করেন,‘ফিটনেসই আমার মূল শক্তি। প্রতিপক্ষের চেয়ে এই জায়গাটাতে নিজেদের এগিয়ে রাখছি আমি। দলের প্রতিটি পজিশনের ফুটবলাররা দারুণ ফিট। অন্তত স্বাধীনতা কাপে সবাই তা দেখেছেন।’
আরামবাগ অধিনায়ক আবু সুফিয়ান সুফিল বলেন, ‘আরামবাগের ফাইনালে ওঠাটাকে অনেকে চমক হিসেবে দেখলেও, আমি এটাকে চমক বলতে নারাজ। এটা আমাদের পরিশ্রম ও আতœবিশ্বাসের ফল। ফাইনালেও আমরা নিজেদের সেরাটা মাঠে ঢেলে দিয়ে জয় তুলে আনতে চেষ্টা করবো।’ তিনি আরও বলেন,‘তবে ফাইনালে দর্শক চাপ থাকবে না বলে কিছুটা মন খারাপ। দর্শকরা গ্যালারীতে থাকলে আমরা অনুপ্রাণিত হই।’
চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর কথা, ‘আরামবাগ এই টুর্নামেন্টে ভালো ফুটবল খেলছে। দেশের অন্যতম সেরা কোচ (মারুফুল হক) তাদের। দীর্ঘদিন তার সহকারী হিসেবে কাজ করার সুবাদে তার টেকনিক-টেকটিস সব কিছু আমার জানা আছে। এ নিয়ে গত দু’দিন কাজও করেছি। আমার চেষ্টা থাকবে তাদের কৌশল রুখে, আমাদের কৌশলের বাস্তবায়ন ঘটানোর। মাঠে যদি ফুটবলাররা তা বাস্তবায়ন ঘটাতে পারে তবে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব।’
অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘আরামবাগের বিপক্ষে গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচটি ড্র হলেও ওই ম্যাচে ওরাই ডমিনেট করেছে। ফাইনালেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। মাঠে যারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে তারাই জয় পাবে এবং শিরোপা জিতবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ