Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেয়েদের জন্ম দেয়াই বন্ধ করে দেয়া হবে

আদালতকে পাল্টা হুঁশিয়ারি খাপ পঞ্চায়েতের

| প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত সপ্তাহে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট খাপ পঞ্চায়েতকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল, সাবালক ছেলে-মেয়ের বিয়েতে নাক গলানোর অধিকার কারো নেই। এর দু’দিন কাটতে না কাটতেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতকেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে খাপের নেতারা বলেছেন, সমাজে দীর্ঘদিন থেকে চলা ঐতিহ্যে আদালতের হস্তক্ষেপ তারা মানবেন না। আর যদি কেউ এ ব্যাপারে মাথা ঘামাতে চায়, তা হলে মেয়েদের জন্ম দেয়াই বন্ধ করে দেবেন! পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে নবদম্পতিদের খুনের একের পর এক ঘটনায় সম্প্রতি খাপ পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। খাপকে নিষিদ্ধ করার আর্জি নিয়ে মামলা হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। সেই মামলাতেই প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দেন, সাবালক ছেলেমেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্যক্তি কিংবা সমাজ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সমাজের বিবেকের ভূমিকায় বসার দরকার নেই খাপ পঞ্চায়েতের। বুধবার বালন খাপের প্রধান নরেশ টিকায়েত এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের উপরে কেউ হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তা মেনে নেওয়া যায় না। আদালত যদি এই ধরনের রায় দেয়, তা হলে আমরা মেয়েদের জন্ম দেওয়াই বন্ধ করে দেব। অথবা, তাদের এতটা লেখাপড়া শেখাব না, যাতে তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে পারে।’সমাজে মেয়েদের সংখ্যা কমে গেলে কী হাল হতে পারে, সেটা ভেবে দেখার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মালিক খাপের প্রধান রাজবীর সিংহ মালিক বলেছেন, ‘বড় বড় শহরে আধুনিকতার যে কুৎসিত প্রকাশ, সম্ভবত তাতেই প্রভাবিত হয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত গ্রামের জীবন আলাদা। ঐতিহ্যকেই মেনে চলতে হবে আমাদের।’ তার যুক্তি,‘মেয়েদের পড়ানোর জন্য অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু বড় হয়ে মেয়ে যদি অভিভাবকদের কিংবা সমাজকে অসম্মান করে, সেটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ তোমর খাপের নেতা চৌধুরি সুরেন্দ্র সিংহের বলেন, ‘এটা নীতির ব্যাপার যা আমরা সন্তানদের শিখিয়েছি। এর মধ্যে আদালতের কী করার আছে? আর ওদের কথা কে শোনে?’ এনডিটিভি, পিটিআই।



 

Show all comments
  • Husnun rashid ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৪:৩৮ পিএম says : 0
    please think women as a human,help them to stand up ther own feet,give them indipences,they will mary or not mary at all or they will chose their husband or not is their business. Male person not think about women. Just make a safe country ,law and order,women friendly country and they will diside what they want. Most of the women were happy before mariage.When they marry their hard life start.Controling husband,father -in-law or mother in law,child birth,because of children hard to go back job,then dipended under husband's income and cononstant "SOB KICHU SOHJO KORO".Enough is enough,women has suffered thousand of years.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ