পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে বিএনপি। তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেছেন, গতকালের রায়ের পর দেশের রাজনৈতিক সংকট বাড়েনি, বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকটই বরং বেড়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুরে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। জেলার ভোগড়ায় বিআরটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। তারেক রহমানসহ মামলার পাঁচ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেক আসামিরই ২ কোটি টাকা করে জরিমানা হয়।
গতকালের রায়ের পর বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও বলেন, ‘তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন।’
গতকালের এ রায়ের ফলে দেশের রাজনৈতিক সংকট ঘণীভূত হলো কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আজ কাদের বলেন, ‘এ রায়ের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংকট ঘণীভূত হলো না। বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট ঘনীভূত হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? যার আগে সাত বছর দণ্ড হয়েছে। তিনি দণ্ডিত ব্যক্তি। অপরাধী হিসেবে দণ্ডিত। আর এই মামলায় তাঁর ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারার ‘ঘ’তে বলা ছিল, ‘সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি’ বিএনপির কোনো পর্যায়ের কমিটির সদস্য কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীপদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দল ভাঙার চেষ্টায় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে-এই আশঙ্কায় গঠনতন্ত্রের একটি ধারা বাদ দেয় বিএনপি। গত ২৮ জানুয়ারি সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় দলটি।
গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আজ ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা কেন তুলে দিয়েছে তা পরিষ্কার।
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা সরকার করেনি, হস্তক্ষেপও নেই। খালেদা জিয়া যদি নিয়মিত হাজিরা দিতেন তবে এ মামলার অনেক আগেই রায় হয়ে যেত। এখন তিনি নিজেই দেরি করে নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।’
সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএকেএন নাহিন রেজাসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।