Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হার্ডলাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪০ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

সাখাওয়াত হোসেন : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আজতের রায়কে ঘিরে জনমনে সৃষ্ট আতংক, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার অবসানে জানমালের নিরাপত্তায় হার্ডলাইন বেছে নিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল ও ছুরি, চাকু বা ধারালো অস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, দাহ্য পদার্থ বহন নিষিদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তা বিধানে আকাশে টহল দেবে আইনশৃংখলা বাহিনীর হেলিকপ্টার, রাস্তায় থাকবে জলকামান, ডগস্কোয়াড, সিসি ক্যামেরা, জলপথে থাকবে কোস্টগার্ডসহ নৌ পথ রক্ষাকারী নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল বিকেল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে বিপুল পরিমান বিজিবি মাঠে নেমেছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর আবাসিক হোটেল, মেসসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক তল্লাশী চালানো হয়েছে গত দু’দিন ধরে। আইন-শৃংখলা রক্ষায় হার্ডলাইনে থেকে সারাদেশে পুলিশ ও র‌্যাবকে বিজিবির সাথে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অফিস ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রেলপথ, সড়কপথ ও নৌপথসহ সবখানে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি রাজধানীর ৭ প্রবেশপথে প্রায় ২০টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশ সদরদফতর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে দেশব্যাপী সর্বাত্মকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আপনারা কোনো গুজবে কান দেবেন না, ভীত হবেন না। স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখুন। আইন-শৃঙ্খলা এবং জননিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কেউ যদি সহিংসতা করে, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। রাস্তার ওপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনো ধরনের সমাবেশ ও মিছিল করা যাবে না। কেউ যদি সহিংসতা করে, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। েেসখানে এক বিন্দুও ছাড় দেয়া হবে না। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত একাধিক ডিআইজি ও এসপি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আজতের রায়কে ঘিরে দেশে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও জননিরাপত্তায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সারাদেশে পুলিশ চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। আবাসিক হোটেল ও মেসগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কাউকেই মাঠে নামতে দেয়া হবে না। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো নৈরাজ্য বা নাশকতার চেষ্টা চালাতে পারে জঙ্গিরা বা অন্যকেউ। তাদের নাশকতার চেষ্টা ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে থানা পুলিশ, র‌্যাব, কাউন্টার টেররিজম (সিটি), ডিবি, এসবি ও সিআইডির সদস্যরা সমন্বয় করে কাজ করছেন।
পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ সুপারদের (এসপি) কাছে পাঠানো চিঠিতে পরামর্শ দিয়ে তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেপিআইভুক্ত সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেলপথ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গণপরিবহনে ভাঙচুরসহ নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালানো হতে পারে। ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলতে পারে। তাই এসব বিষয় মাথায় রেখে সারাদেশে সার্বিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সরকারি স্থাপনাসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমরা সব সময় তৎপর রয়েছি। কোন ধরনের নাশকতা হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, যে সব এলাকায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে সেগুলোকে সচল রাখার পাশপাশি সব বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানমালের নিরাপত্তা এবং আত্মরক্ষায় যা যা করা প্রয়োজন পুলিশ আইন অনুযায়ী তা করবে। নৈরাজ্যকর ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কঠোরভাবে দমনে পুলিশের পাশপাশি সারাদেশে মাঠে নেমেছে র‌্যাব। জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, জননিরাপত্তা দিতে শতভাগ প্রস্তুত এলিট ফোর্স র‌্যাব। কোনো রাজনৈতিক দল বা বিশেষ গোষ্ঠী যাতে নাশকতা না চালাতে পারে তাই কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে র‌্যাব। সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ভিআইপিদের বাসস্থানের আশপাশে টহল দিচ্ছে র‌্যাব সদস্যরা। আজ ভোর থেকেই র‌্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে। টহলের পাশাপাশি প্রয়োজনে হেলিকপ্টার নিয়ে র‌্যাব দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌছাবে।
পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে সারাদেশের মেট্রোপলিটন কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের কাছে ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিক নির্দেশনার বার্তা পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকা পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াত জোট যদি পরিবহন চলাচলের সময়ে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও পরিবহন শ্রমিকরা আক্রান্ত হন তাহলে তারা দ্রæত গতিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, মহাখালী বাস টার্মিনাল-এই ৪ টার্মিনালে রায়ের দিন ২০ হাজার পরিবহন শ্রমিককে জমায়েত রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি।
ডিএমপির একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে কোনরকম অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। রাজধানীর গুলশান থেকে বকশীবাজার আদালত প্রাঙ্গণ পর্যন্ত এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা গড়ে তোলা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে ঝুঁকিপূর্ণ বলে পরিচিত হিসেবে আদালত প্রাঙ্গণ, নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগার, গুলশানের বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজা ভবন এলাকা। আদালত প্রাঙ্গণ, পুরাতন কারাগার এলাকায় তল্লাশি করে বিচার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজনকে শুধুমাত্র প্রবেশ করতে দেয়া হবে। রায় ঘোষণার দিনে নাশকতা, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় গোটা নগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়ার আওতায় আনা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা তো স্থাপন করা হয়েছে, এমনকি বিভিন্ন এলাকায় বিপুলসংখ্যক ভিডিওচিত্র ও আলোকচিত্র গ্রাহক দল কাজ করছে। তারা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির ভিডিও ফুটেজ ও স্টিল ছবি তুলে রাখবে, যাতে পরে ছবি দেখে দোষীদের গ্রেফতার করা যেতে পারে। গতকাল রাজধানীর বিভিণœ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাবতলী পর্বত প্রেক্ষাগৃহের সামনে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। তল্লাশি চালানো হচ্ছে নিরাপত্তাচৌকিতে, বাড়ানো হয়েছে জনবল। কমলাপুর রেলস্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকায় আসা যাত্রীদের শরীর ও ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে। আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ভেতরে তল্লাশি করছে পুলিশ সদস্যরা। তল্লাশীর পাশাপাশি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া নয়াবাজারসহ শতাধিক পয়েন্টে র‌্যাব-পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে ব্যাপক তল্লাশী করে।

যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের বাসায় তল্লাশি
যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব ও গতকাল বুধবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশ এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের উত্তরার বাসায় এ তল্লাশি চালায়। জাহাঙ্গীর হোসেনকে বাসায় না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে অশালিন ব্যবহার ও হুকমি ধামকি দেয়। এক পর্যায়ে তার বাসার নিরাপত্তাকর্মী রাজুকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
রাজধানীতে অতিরিক্ত ১২ হাজার পুলিশ মোতায়েন
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীতে সন্দেহভাজন হিসাবে প্রায় দেড়শ’ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আবাসিক হোটেলগুলোতে ইতিমধ্যে পুলিশ গিয়ে সন্দেহভাজন কোন ব্যক্তিকে না রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু ব্যক্তিগত চিকিৎসা, নিয়োগ পরীক্ষা ও সরকারি কোন কাজ ছাড়া কেউ আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবে না। এমন নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সোমবার বিকাল থেকেই আবাসিক হোটেলগুলো এক ধরনের বোর্ডার শূন্য পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কিভাবে তারা যাতায়াত করবেন-তা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাজধানীতে ৪৯ টি থানার কর্তব্যরত সকল পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ও ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে আনুমানিক ১২ হাজার পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সারাদেশে র‌্যাবের ১৪ টি ব্যাটালিয়ন ৬ হাজার সদস্যকে যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুরান ঢাকায় বিশেষ করে কারা অধিদফতর চত্বরে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে খাজা নাজিম উদ্দিন রোডে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে কেন্দ্র করে লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, কোতয়ালি, সূত্রাপুর, চাঁনখারপুল এলাকায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।



 

Show all comments
  • Ah Shipon ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:৪৪ এএম says : 0
    পুলিশ ভাইদের বলছি আপনারা জনগনের বন্ধু,,জনগনের পক্ষে কাজ করোন,,,কোন বিশেষ দলের হয়ে নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Samir Al Mamun ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:৪৯ এএম says : 0
    সাধারণ জনগণ হয়রানী ও নাজেহাল হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply
  • Sojib Talukder ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১:৫০ এএম says : 0
    আমরা সাধারণ মানুষেরজীবন টা শেষ। আল্লাহ ছাড়া এখন আর কোন রাস্তা নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • আরজু ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ২:১০ এএম says : 0
    সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • ইবন আবদুস সালাম ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৪:২২ এএম says : 0
    ছাত্র । বিশেষ করে যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে রাজধানীতে পড়াশুনো করে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে । তার সাথে তারা যেন ভোগান্তির স্বীকার না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি ।
    Total Reply(0) Reply
  • ওমর খৈয়াম ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৪:২৮ এএম says : 0
    রাজনীতিবিদদের দাবি, তারা আমাদের (আমজনতা) জন্যে রাজনীতি করে । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি তারা আমাদের বন্ধু, আমাদের নিরাপত্তা দেওয়াই তাদের দায়িত্ব । কিন্তু সর্বোপরি নাজেহাল হই আমরা । অরাজকতার সৃষ্টি হলে বিপাকে পরি আমরা । বিশেষ করে তারা যারা, রাজধানীতে এসেছে শিক্ষার জন্যে অথবা কর্মের খোঁজে । আমরা রাজধানীর বাসিন্দা হলেও স্থায়ী বাসিন্দা ত নই । আমাদের প্রিয়জন, আত্মীয়স্বজন সবাই রাজধানীর বাইরে । আমাদের জন্যে তাদের উৎকণ্ঠা কি কারো দৃষ্টি কারে না?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাহিনী

২১ নভেম্বর, ২০২২
২১ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ