Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সেঞ্চুরি-হ্যাটট্রিক দুই-ই বৃথা

| প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : প্রথমে বল হাতে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের স্পিনার আসিফ হোসেন। এরপর ব্যাট হাতে অধিনায়ক নাঈম ইসলাম করলেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। কিন্তু দিন শেষে দুজনই পরাজিত দলের সদস্য!
লক্ষ্য ২৩০ রানের। টু ডাইনে নেমে অপরাজিত ১১৬ রান করেন নাঈম। এরপরও ম্যাচ জেতাতে পারেননি এক সময় ‘ছক্কা নাঈম’ তকমা পাওয়া এই ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে তার দল হেরেছে মাত্র ৩ রানে।
সাভারে তাদের পাশের মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ব্রাদার্স ইউনিয়নের লক্ষ্যটাও ছিল ২৩০ রানের। এখানে সেই ভুল করেননি জাতীয় দলের আরেক সাবেক ব্যাটসম্যান অলক কাপালি। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছাড়েন কাপালি। ৯১ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান ৬ চার ও ৪ ছক্কায়।
তবে কাপালি নয়, শুরু থেকেই এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি নজর ছিল সালমান বাটের উপর। ৬২ রানের সুন্দর এক ইনিংস উপহার দিয়ে মানও রাখেন পাকিস্তানি ওপেনার। দলীয় ১১২ রানে তার বিদায়ের পরও রাকিবুল হাসানকে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকেই হাটছিলেন অধিনায়ক শামছুর রহমান। কিন্তু রাকিবুলের বিদায়ের পরই যেন মড়ক লাগে মোহামেডান ইনিংসে। ৩৯ ওভারে ২ উইকেটে ১৮২ থেকে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ইনিংটি আটকে যায় ২৩০ রানে! সর্বেঅচ্চ ৮৫ রান করেন শামসুর।
পাশের মাঠে শেখ জামালের একই সংগ্রহে বড় অবদান নুরুল হাসানের। আসিফ হাসানের হ্যাটট্রিকে বিনা উইকেটে ৬৬ থেকে ৪ উইকেটে ৬৭ রানে পরিণত হয় শেখ জামাল। নিয়মিত উইকেট পতনের সামনে দাঁড়িয়ে একাই লড়ে যান উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১০৭ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৯০ রান। অষ্টম উইকেটে আল-ইমরানকে নিয়ে গড়েন কার্যকরী ৭৫ রানের জুটি। দলও পেয়ে যায় ২৩০ রানের লড়াকু ইনিংস।
বল হাতে বিপিএল মাতানো আবু জায়েদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এই রানও পাহাড়সম হয়ে যায় রূপগঞ্জের কাছে। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪২ রানে ৪ উইকেট নেন জায়েদ। আর বৃথা যায় নাঈমের ১১৬ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১১৬ রানের ইনিংস।
এছাড়া ফতুল্লায় কলাবাগান ক্রিড়া চক্রের দেয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য টপ-অর্ডারদের দৃড়তায় ৭ উইকেট ও ৮৪ বল হাতে রেখেই পূরণ করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
শেখ জামাল-রূপগঞ্জ, সাভার ৪
শেখ জামাল : ৫০ ওভারে ২৩০/৯ (পিনাক ১৭, হাসান ৪৯, সৈকত ০, রাকিন ০, সানি ২৩, হাসান ৯০, জিয়া ৯, সোহাগ ০, আল ইমরান ২৮, নাজমুল ৮*, জায়েদ ২*; শহীদ ০/৫২, শরীফ ২/৫৩, মোশাররফ ২/৪১, আসিফ ৩/২৯, নাঈম ২/৪৭, অভিষেক ০/৫)।
রূপাগঞ্জ : ৫০ ওভারে ২২৭/৮ (সামি ৬, মজিদ ৫, অভিষেক ৮, নাঈম ১১৬*, তুষার ৯, হামিদুল ০, মিলন ৫১, শরীফ ৯, মোশাররফ ১৬, শহীদ ০*; জায়েদ ৪/৪২, সোহাগ ২/৪২, নাজমুল ১/৪১, সানি ১/৪০, আল ইমরান ০/১৭, জিয়া ০/৪৪)।
ফল : শেখ জামাল ৩ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : নুরুল হাসান (শেখ জামাল)।

কলবাগান-প্রাইম ব্যাংক, ফতুল্লা
কলবাগান : ৫০ ওভারে ১৭২/৮ (তাসামুল ১৭, জসিম ৯, মুনীম ৬, আশরাফুল ১৪, তাইবুর ৪৫, খালিদ ৬, মাহমুদুল ৫০*, মুক্তার ০, হাসান ৪, শাহাদাত ১৩*; দেলোয়ার ৩/৩২, আরিফুল ১/৪৮, শরিফুল ২/৩১, নাহিদুল ০/১৭, আল আমিন জুনিয়র ১/১৮, চান্দেলা ০/১০, মনির ০/১৪)।
প্রাইম ব্যাংক : ৩৬ ওভারে ১৭৩/৩ (মারুফ ৫১, জাকির ৫৬, চান্দেলা ৪১*, আল আমিন জুনিয়র ১১, মেহরাব জুনিয়র ৮*; শাহাদাত ০/২৮, মুক্তার ১/২৭, মাহমুদুল ০/১৮, হাসান ১/৩৮, খালিদ ০/১৫, নাবিল ০/২৩, আশরাফুল ১/২৪)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : দেলোয়ার হোসেন (প্রাইম ব্যাংক)।

মোহামেডান-ব্রাদার্স, সাভার ৩
মোহামেডান : ৫০ ওভারে ২৩০/৮ (রনি ৬, বাট ৬২, শামসুর ৮৫, রাকিবুল ২৭, শুক্কুর ২, সাঈদ ২১, এনামুল ১১, অনিক ৫, বিশ্বনাথ ০*; উফতেখার ১/১০, খালেদ ১/৬১, মেহেদী ১/৪৭, নাহিদুজ্জামান ০/৩৪, শুভ ২/৪০, কাপালি ১/৩৫।
ব্রাদার্স : ৪৭.২ ওভারে ২৩২/৫ (মিজানুর ৪, জুনায়েদ ২২, ইয়াসির ২১, সিম্পসন ৩৯, কাপালি ৯৫*, মাইশুকুর ৯, শুভ ৩০*; সুভাশিস ১/৪৭, এনামুল ০/৪৪, অনিক ২/৪২, এবাদত ২/৩১, বিশ্বজিত ০/৫১, শামসুর ০/১০)।
ফল : ব্রাদার্স ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : অলক কাপালি (ব্রাদার্স)।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ