পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না দাতারা। ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রæতিও মিলছে না। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পে কারিগরি সহায়তার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও বিশ্বব্যাংক, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) সাড়া দেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে টানেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২২ কোটি টাকা। যদিও গত বছর এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব ফেরত দেয় পরিকল্পনা কমিশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপান ও চীনকে প্রস্তাব দিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি। শুধু তাই নয়, সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পে কারিগরি সহায়তার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও বিশ্বব্যাংক, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সাড়া দেয়নি। এজন্য গত বছর সরকারি অর্থায়নে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যদিও সে সময় ব্যয় নিয়ে আপত্তি তুলে টানেলের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সুপারিশ করেছিল কমিশন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ব্যয়ের সুপারিশ করা হয়। তবে এ বিষয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সিদ্ধান্ত চায় সেতু বিভাগ। পরে একনেক থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে সেতু বিভাগ। তবে এবার ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি টাকার বেশি। এক্ষেত্রে সেতু বিভাগের যুক্তি হলো, আগেরবার শুধু সড়ক টানেল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কথা ছিল। এবার সড়ক ও রেল টানেল নির্মাণের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৫-২৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরের সময় যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে জাপান আগ্রহ দেখায়। এ প্রকল্পসহ বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপান সরকারের ঋণ প্রদানের বিষয়ে যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু পরে জাইকা জানায়, তারা প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করবে না। এ অবস্থায় প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। পরে বিশ্বব্যাংককে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কারিগরি সহায়তার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে সে প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেয়নি বিশ্বব্যাংক। এডিবি ও আইডিবির কাছেও একইভাবে সাড়া মেলেনি। দাতাদের সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ‘যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা’ প্রস্তাব করা হয়।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান নদী পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। এ তিন নদীকে ভৌগোলিকভাবে উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলÑএ চার ভাগে বিভক্ত করেছে। যমুনা নদী ভারত থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রথমে পদ্মা ও পরে মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এর মধ্যে যমুনার প্রশস্ততা অনেক বেশি। বর্ষাকালে ৮ থেকে ১৩ কিলোমিটার প্রশস্ত হয়ে থাকে। এ নদী দিয়ে গড়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হয় ও ৬০০ মিলিয়ন টন পলি বহন করে থাকে।
প্রস্তাবে বলা হয়, পলি বহনের বিবেচনায় যমুনা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং পানি প্রবাহের দিক থেকে বৃহত্তম নদী। পলি জমার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেতুর পরিবর্তে টানেল নির্মাণ সুবিধাজনক হওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ে বালাশী এবং বাহাদুরাবাদ অবস্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মাধ্যমে টানেলের প্রকৃত অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাবে। সূত্র জানায়, দাতাদের সাড়া না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নিজস্ব অর্থায়নে সমীক্ষা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।