Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্যাকব জুমার ওপর পদত্যাগের চাপ জোরালো হচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার উপর পদত্যাগের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। গত রোববার নিজ দল এএনসি পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ চাপ আরও জোরালো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এমন আভাস দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রোববারের বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে জুমা পদত্যাগে রাজি হননি বলে টুইটারে দাবি করেছেন সাবেক এনএনসি সদস্য বরং বর্তমানে বিরোধী দলীয় নেতা জুলিয়াস মালেমা। সোমবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দলের নেতারা।
জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। দুর্নীতিতে তার নাম জড়িয়ে পড়ে ব্যবসায়ী শাবির শেইকের সাথে। সাবির ফরাসি অস্ত্র বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০০৫ সালে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। যুদ্ধবিমান, টহল নৌযান ও অন্যান্য অস্ত্র কেনার সময় প্রেসিডেন্ট জুমা ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা সাবিরের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন মর্মে অভিযোগ উঠেছিল। ২০০৫ সালে জুমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও ২০০৯ সালে তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু গত বছরে বিরোধীদল ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের’ দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আদালতে আপিল করলেও শেষ রক্ষা হয়নি জুমার। আদালত সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর জ্যাকব জুমা দলের সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন গত ডিসেম্বরেই। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সিরিলরামাফোসা। তবে তার নেতৃত্বের সমালোচনা ক্রমেই বাড়ছে। এএনসির কর্মী, সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী নেতারা সা¤প্রতিক মাসগুলোতে জুমাকে পদত্যাগের আহŸান জানান। এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বৈঠকও হয়েছে। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা মনে করেন যে জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির অভিযোগ দলের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করছে, যা পরবর্তী নির্বাচনে দলের জন্য খারাপ ফল বয়ে আনতে পারে। তারা মনে করেন জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মেয়াদকালে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার জন্য দলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে।
বিবিসি জানায়, রবিবার আলোচনার মাধ্যমে জ্মুাকে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি করানোর জন্য তার প্রিটোরিয়ার বাসভবনে দলের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন নেতা তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন। যদিও সেই বৈঠকের বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি, তবে বিশ্লেষকদের মতে বর্তমান সভাপতি এমন কিছু করতে চান না যাতে করে দল ভেঙে যায়। কারণ সামনেই নির্বাচন।
এএনসির সাবেক নেতা ও বর্তমানে বিরোধী দলের নেতা, জুলিয়াস মালেমা টুইটারে দাবি করেছেন, জ্যাকব জুমা তার পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। দলের নেতাদের নাকি তিনি জানিয়েছেন যে তাকে অপসারণের জন্য যা করার তা নেতারা করতে পারেন। কিন্তু যেহেতু তিনি নির্দোষ সেহেতু তিনি অপবাদের দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করবেন না।
জ্যাকব জুমার মেয়াদ ২০১৯ সালের নির্বাচন পর্যন্ত। তবে তিনি যদি এর মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে, তার দলের নেতারা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অপসারণ বা সংসদে আইন পাস করে তাকে পদচ্যুত করতে পারেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ