Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘মানুষ ছোট, কাজ করে বড়’

মুমিনুলের প্রশংসায় অধিনায়ক জন্মদিনে সেরা উপহার মাহমুদউল্লাহর

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ত্রিদেশীয় সিরিজে আহত হয়ে সাকিব আল হাসান দলের বাইরে ছিলেন। এ কারণে অধিনায়কের দায়িত্ব পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রান করেও গতকাল পঞ্চম দিন হারের শংকায় পড়ে গিয়েছিল। তারওপর গতকাল ছিল অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহার জন্মদিন। এই দিনে মুমিনুল ও লিটন ১৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে হারের লজ্জা থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি দলকে সম্মানজনক ড্র এনে দেন। এরফলে অধিনায়ক মাহমুদ্দউল্লাহ তার অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচেই সফল হয়েছেন বলা যায়। এমন দিনে হারের ম্যাচে ড্র পেলেন তিনি, যেটি তার জন্মদিনের সেরা উপহার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে আসার আগেই মাঠেই জন্মদিনের কেক কাটেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা শুধু একটা জিনিসই ছিলো যে, কারণ আমরা জানি প্রথমেই আমরা তিনটা উইকেট হারিয়েছিলাম, আমাদের মধ্যে যাতে ওই বিশ্বাসটা থাকে যে আমরা বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি এবং ওইভাবেই যেনো আমরা রিঅ্যাক্ট করি, আমাদের অ্যাকশনগুলো যেনো ওই রকম হয়। আলহামদুলিল্লাহ-  মুমিনুল ও লিটন আজ (গতকাল) খুব ভালো ইনিংস খেলেছে। আমার মনে হয় যে, ওদের ইনিংস খুবই ফাইটিং নক ছিলো। খুব ভালো লেগেছে। ওদের পারফর্ম্যান্সে আমি খুবই খুশি।’ মুমিনুলের ব্যাটিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা মুমিনুল ভালো বলতে পারবে। কিন্তু আমাদের দলীয় কথা হয়েছিলো ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে থাকা। উইকেট আজও (গতকাল) খুব ভালো ছিলো। মুমিনুল ও লিটন কষ্ট করে করে ব্যাটিং করেছে। তাদের কষ্টের ফল আমরা সবাই পেয়েছি। সুতরাং মূল কৃতিত্বটা তাদেরই দিতে হবে।’ ড্রর কলটি লংকানরাই করেছিল উল্লেখ করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘গতকাল আমরা যে অবস্থায় ছিলাম, আপনি যেটা বললেন যে, হারের আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছিলো। কিন্তু আমি যেটা বললাম যে, আমাদের মধ্যে বিশ্বাস থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, আমাদের যে দায়িত্ব তা মনে রেখে ব্যাটিং করা উচিত ছিলো। আমাদের স্কিলেও আমাদের বিশ্বাস ছিলো। আমাদের শুধু একটা জুটির দরকার ছিলো। যেটা মুমিনুল ও লিটন করেছে। আর ড্র’র কলটা ওদের (শ্রীলঙ্কার) তরফ থেকেই আসে। যেহেতু রেজাল্ট হচ্ছে না, তো তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেললেই ভালো।’  মুমিনুলের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষ ছোট, কিন্তু কাজ বড় করে। একট কথা বলবো। ওর হৃদয়টাও বড়। হি ইজ আ বিগ হার্টেট ম্যান এবং এ জন্যই ও আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের জন্য ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। দোয়া করি সামনে ও আরো ভালো করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুমিনুলও। দুই সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসটাকেই এগিয়ে রাখব। কারণ দ্বিতীয় ইনিংসটা ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ধীরে সুস্থে ব্যাটিং করা প্রয়োজন ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগেরদিন লিটন ও রিয়াদ ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আমরা এর আগেও অনেকবার মুখোমুখি হয়েছি। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে মানসিক দৃঢ়তা। নিজের কাছে বিশ^স্ত থাকা। এমনকি আপনার টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে টিম বয় সকলেরই বিশ^াস থাকা। দেশবাসীসহ সকলেই বিশ^াস করেন বলে জিনিসটা আসছে। কারো মধ্যেই যেন এই জিনিসটা না আসে যে এই ম্যাচটা আমরা পারব না। রিয়াদ ভাই’র সাথে কথা বলেছি তিনিও একই কথা বলেছেন। এটা যদি একজনের মধ্যেও আসে তাহলে ভাইরাসের মত তা চলতে থাকে। টিমে যখন কথা বলি তখন কারো মধ্যে যেন সন্দেহ না থাকে। বিশ^াসটা আসল সবার মধ্যেই ছিল।  টেস্ট যদি চাপের কথা ভাবেন তাহলে ডিফিকাল্ট। আমরা যেটা ভেবেছিলাম যে সেশন বাই সেশন খেলার। তাহলে জিনিসটা সহজ হয়ে যায়। আপনি যদি চারদিন পাঁচদিনের কথা ভাবেন তাহলে কঠিন হয়ে যাবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ