Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বিদেশি শক্তির ওপর দোষ চাপিয়ে আফগানিস্তান লাভবান হবে না

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমাদ চৌধুরী

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আফগানিস্তানের যে কোনও সমস্যায় পাকিস্তানকে দায়ী করার কঠোর সমালোচনা করেছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমাদ চৌধুরী। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নিজের সমস্যায় বিদেশি শক্তির ওপর দোষ চাপিয়ে আফগানিস্তান লাভবান হবে না। সমস্যা সমাধানে এটা তাদের কোনও সাহায্য করবে না। আইজাজ আহমাদ চৌধুরী বলেন, আফগানিস্তানের সহিংসতা থেকে পাকিস্তানের হারানো ছাড়া পাওয়ার কিছু নেই। আমরাই একমাত্র দেশ যারা আফগানিস্তানে শান্তি ফিরলে দেশটির জনগণের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। এই ঝানু কূটনীতিক প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ইসলামাবাদ কেন আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল করে তোলার মতো উপাদানগুলোতে সমর্থন দেবে এবং এর মধ্য দিয়ে নিজ দেশে অস্থিতিশীলতা ডেকে আনবে? এ বছরের জানুয়ারিতে কাবুলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন দুই শতাধিক মানুষ। পরে তালেবান এর দায় স্বীকার করে। এ ধরনের হামলার ঘটনায় আফগান সরকার পাকিস্তানের যোগসাজশ খোঁজায় হতাশা ব্যক্ত করেন আইজাজ আহমাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা এসব হামলার নিন্দা জানাই। নিরপরাধ মানুষের জীবন গেছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসলামাবাদে নিযুক্ত আফগান দূতাবাসে গিয়েছেন। আমরা আফগান জনগণ ও সরকারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। তবে যে কোনও ঘটনায় আফগান সরকারের পাকিস্তানকে দায়ী করার যে প্রবণতা তা হতাশাজনক। আইজাজ আহমাদ চৌধুরী বলেন, নিজের সমস্যায় বিদেশি শক্তির ওপর দোষ চাপানোর আফগান সরকারের যে প্রবণতা সমস্যা সমাধানে তা কোনও সাহায্য করবে না। আফগানিস্তানে বিদ্যমান সহিংসতার সমাধান নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটি বিস্তৃত পদ্ধতি থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে সব গোষ্ঠীর মধ্যে একটি সত্যিকারের রাজনৈতিক সংলাপ হতে পারে। তিনি বলেন, এখানে আমরা কোনও পক্ষ হতে চাই না। আমরা মনে করি এটা আফগান সরকার ও দেশটির বিবদমান সব পক্ষগুলোর বিষয়। তালেবানদের অবশ্যই সেই প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে। এই কূটনীতিক বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই দফা উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উদ্যোগে আফগানিস্তানে সমন্বয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার উদ্যোগে তালেবানদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে একমত হয় চার দেশ। দেশগুলোর তরফ থেকে বলা হয়, তালেবানদের আগে সহিংসতার পথ পরিহার করতে হবে। কিন্তু তাদের সর্বোচ্চ নেতার মৃত্যু নিয়ে একটি খবর ফাঁসকে কেন্দ্র করে ওই বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। তালেবানদের ওপর পাকিস্তানের প্রভাব কমেছে বলেও উল্লেখ করেন এই কূটনীতিক। সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সা¤প্রতিক উত্তেজনার বাস্তবতায় দুই দেশের সম্পর্ক রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমাদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, একসঙ্গে কাজ করার জন্য পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রকে একটি অভিন্ন স্বার্থের জায়গা খুঁজে বের করা উচিত। এ ধরনের একটি সম্পর্ক ভেঙে দেওয়াটা ভুল হবে যা সাত দশক ধরে উভয় পক্ষকেই লাভবান করে আসছে। আইজাজ আহমাদ চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। এ নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।’ এনপিআর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ