Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিব্রত তাইজুল দায়িত্ব দিলেন ব্যাটসম্যানদের

‘৩ উইকেট আর ১০০ রান বেশি হয়ে গেছে’

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : ব্যাটিংয়ের জবাবটা ব্যাট হাতে বেশ ভালো মতই দিয়েছে লঙ্কানরা। প্রথম ইনিংসে ৫১৩ করেও বাংলাদেশকে স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না শ্রীলঙ্কার ৭১৩ রান। বোলিংয়েও ঢের এগিয়ে সফরকারীরা। চট্টগ্রাম টেস্টে ৪র্থ দিনে এসে তাই এই ম্যাচেও হারের শঙ্কা পেয়ে বসেছে মাহমুদউল্লাহর দলকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮১ রানেই ৩ উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। তামিম, ইমরুল, মুশফিককে হারিয়ে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর চোখ রাঙানি বাংলাদেশের সামনে। পিছিয়ে ১১৯ রানে, হাতে ৭ উইকেট। সেই ক্ষতেই এবার প্রলেপ দিতে এলেন দলের সবচেয়ে ‘সফল’ বোলার তাইজুল ইসলাম।
৩৯ রানে ৮ উইকেট, টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি তার। ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে করেছেন অভিষেক ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক। তবে সব রেকর্ডের স্বাদই যে মধুর নয়, সেটিও জেনে গেলেন তাইজুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে এমন এক রেকর্ডে নাম উঠেছে, যেটি না হলেই তিনি খুশি হতেন। উইকেট পেয়েছেন চারটি; সেদিক থেকে প্রথম ইনিংসে দলের সফলতম বোলার তিনিই। কিন্তু চার উইকেটের জন্য তাকে হাত ঘোরাতে হয়েছে ৬৭.৩ ওভার খরচ করতে হয়েছে ২১৯ রান। শ্রীলঙ্কার ৭১৩ রানের প্রায় ৩১ শতাংশই এসেছে তাইজুলের বোলিংয়ে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, পিচের অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকলেও বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্ষত রয়েছে। ক্ষতস্থানে বল পড়লে বেকায়দায় পড়তে হয় ব্যাটসম্যানদের। এ অবস্থায় আজ পঞ্চম দিন কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে টাইগারদেরকে, ‘ম্যাচটা বাঁচাতে হবে। যদি আমাদের ব্যাটসম্যানরা লড়াই করতে পারে। জানি অনেক কঠিন হবে। তারপরেও আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলতে পারলে হয়তোবা ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো ফল পাবো। আমার কাছে মনে হয়, আজ (গতকাল) যদি আমাদের একটা উইকেট থাকতো-সেটি ঠিক ছিল। কিন্তু তিনটি উইকেট একটু বেশি হয়ে গেছে। বিশেষ করে মুশফিক ভাইয়ের উইকেটটি থাকলে ভালো হত।’
লংকানরা ভালো ব্যাটিং করলেও তাদেরকে ১০০ রান বেশি দেয়া হয়ে গেছে বলে অভিমত তাইজুলের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি সত্যি যে এটি ব্যাটিং উইকেট ছিল। তবে আমার কাছে মনে হয় যে আমরা ওই লেভেলের বোলিংটা করতে পারিনি। আমরা যদি তাদের সাড়ে পাঁচশ, ছয়শ’র মধ্যে রাখতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। আমার মনে হয় যে ১০০ রান বেশি দিয়ে ফেলছি।’ লংকান বোলাররাও খুব বেশি ভালো বল করতে পারছে না বলে উল্লেখ করে তাইজুল বলেন, ‘ওরা (শ্রীলংকা) যে খুব ভালো বল করেছে তা আমি বলবো না। তারা যদি ভালো বল করতো এটুকু সময়ের মধ্যে ৮০ (৮১) রান হতো না। উইকেট পড়ে যাওয়ায় হয়তো মনে হচ্ছে তারা ভালো বোলিং করেছে। কিন্তু আমি তা বলবো না।’
টানা তিনদিন ফিল্ডিং-বোলিং করার পরেও দলের ক্রিকেটাররা এখনও ক্লান্তিহীন আছেন বলে জানান তাইজুল। তবে সেই ক্লান্তি জেঁকে বসলো পরের প্রসঙ্গ উঠতেই। তার করা ওভার, তার খরচ হওয়া রান, দুটিই বাংলাদেশের রেকর্ড। এক ইনিংসে সাকিব আল হাসানের করা ৬৬ ওভার ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে করেছেন রান দেওয়ার ডাবল সেঞ্চুরি। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই বিব্রত তাইজুল, ‘খুব যে একটা ভালো রেকর্ড, তা মনে হচ্ছে না। আরও ভালো বোলিং করলে হয়ত এই রেকর্ডের্রদিকে যেতে হতো না। হয়তবা অনেক ভালো বোলিং করতে পারিনি, যেজন্য রেকর্ডটি হয়েছে।’
শুধু তাইজুল নন, ভালো বোলিং করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলারই। দলের একমাত্র পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংই ছিল সম্ভবত সেরা। স্পিনাররা সবাই বিবর্ণ। অভিষেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ১৫৩ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন সানজামুল। ৪৯ ওভার বোলিং করে ১৭৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মোসাদ্দেকও হোসেন ৩ ওভারে এত খরুচে ছিলেন যে অধিনায়ক তাকে আর বোলিংয়ে আনার সাহস পাননি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ