নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে শেষ দল হিসেবে স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে জ্য়গা করে নিল টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চতুর্থ ও কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ৪-২ গোলে হারায় শেখ রাসেলকে। চট্টগ্রামের পক্ষে ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ, মিডফিল্ডার সোহেল রানা, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও সাখাওয়াত হোসেন রনি একটি করে গোল করেন। শেখ রাসেলের হয়ে দু’গোল শোধ দেন ফরোয়ার্ড মেহবুব হাসান নয়ন ও ডিফেন্ডার জাভেদ। এই জয়ে আগামী মঙ্গলবার শেষ চারের দ্বিতীয় ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। তারা একের পর এক আক্রমনে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে শেখ রাসেলের রক্ষণভাগকে। যার ফলও খুব তাড়াতাড়ি পায় চট্টগ্রাম। ম্যাচের প্রথমার্ধেই তারা ৪-১ গোলে এগিয়ে গেলে একতরফাভাবে ম্যাচ হেরে বসে রাসেল। বলতে গেলে প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফল এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। এসময় ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ আর উত্তম কুমার বনিকের ভুল বুঝাবুঝিতে বল পান আবাহনীর তৌহিদুল আলম সবুজ। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি দর্শনীয় এক ভলিতে শেখ রাসেলের জাল কাঁপান সবুজ (১-০)। তবে মাত্র তিন মিনিটের মাথায় সমতায় ফিরে শেখ রাসেল। ১২ মিনিটে খালেকুজ্জামান সবুজের ক্রসে চট্টগ্রামের বক্সে বল পেয়ে লাফিয়ে উঠে বাকানো শটে দারুণ এক গোল উপহার দেন রাসেলের ফরোয়ার্ড মেহবুব হাসান নয়ন (১-১)। ১৮ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় বন্দরনগরীর আকাশী-হলুদরা। আব্দুল্লাহর ক্রসে রাসেলের জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি মিডফিল্ডার সোহেল রানা (২-১)। ৪৩ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গোলটি উপহার দেন চট্টগ্রামের আব্দুল্লাহ। এসময় বক্সের বাম কোনার কাছেই ফ্রি কিক পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কোনাকোনি শটে সরাসরি রাসেলের জালে বল পাঠান আবদুল্লাহ (৩-১)। দু’মিনিট পর আব্দুল্লাহর ফ্রি কিক থেকে প্রায় ফাকা পোস্টে হেডে মৌসুমের প্রথম গোলটি করেন ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন রনি (৪-১)। রনির গোল করার পরই বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করে চট্টগ্রাম আবাহনী। এ সময় আক্রমণে আক্রমণে ফয়সাল, সুশান্তদের ব্যস্ত রাখেন শেখ রাসেল ফরোয়ার্ডরা। আক্রমণের ফল আসে ৭৩ মিনিটে। বদলী হিসেবে মাঠে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া বল দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জালে পাঠান রাসেল ডিফেন্ডার জাভেদ (২-৪)। ম্যাচের বাকি সময় এরপর শুধু লড়েছেই দু’দল। কিন্তু আর কোনো গোল হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।