বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
সেদিন আদালত থেকে ফেরার পথে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও আসামি ছিনতাইয়ের সঙ্গে বিএনপিকর্মীরা জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, আমি কোর্টে যেতাম। তারা আমার সঙ্গে যেতো। তারা জ্বালাও-পোড়াও ভাঙচুর করেনি। তবু তাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে গিয়ে আটক করা হচ্ছে। অথচ তারা দেশে গণতন্ত্রের কথা বলেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
‘বিএনপিকে হামলা করে মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের সম্পর্ক মাটি ও মানুষের সঙ্গে। জোর জবরদস্তি করে স্বার্থ আদায় হবে, কিন্তু ভোট পাওয়া যাবে না।’
মূলত বিএনপিকে দুর্বল করতে এমন হামলা-মামলা হচ্ছে বলেও দাবি করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বিএনপিকে দুর্বল করতে পারলেই তাদের সুবিধা। এজন্যই প্রশাসনকে ঢালাওভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এই প্রশাসনকে সুযোগ দিলে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। কারণ তারা এদেশের মানুষ। তারা গণতন্ত্র চায়।
তিনি বলেন, তারা বলে বেড়াচ্ছেন, ডিসেম্বরে নাকি নির্বাচন হবে। তারা প্রচারণায়ও নেমেছে। নৌকায় কি এতোই পচন লেগেছে, যে এতো আগে প্রচারণা শুরু করতে হবে?
বিএনপি নেত্রী বলেন, তারা বলে নির্বাচনে জয়ী দল। অথচ আমরা জানি ২০০৮ সালে নির্বাচনে কি হয়েছিলো! তবু দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা বলেছিলাম সংসদে যাবো। কিন্তু তারা আমাদের সরলতাকে দুর্বল ভেবেছিলো। আর বর্তমান সংসদের কথা সবাই জানে। যে ভোটারবিহীন নির্বাচনে ১৫৪ জন সংসদ সদস্যই এসেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। জনগণ ওই নির্বাচনকে সমর্থন করেনি। এজন্য তারা কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।