নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : টেস্টে প্রথম ডবল সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় চলে গিয়েছিলেন আবারও। কিন্তু ১৭৬ রানে গিয়ে রঙ্গণা হেরাথের স্পিন জাদুতে কুশাল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাই আবারও চট্টগ্রাম ভেন্যুতে ডবল সেঞ্চুরি পুরণের সম্ভাবনা উজ্জল হওয়ার পরও তা হাতছাড়া হয়ে যায় মমিনুল হকের। এই ভেন্যুতেই ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮১ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস রয়েছে মমিনুলের। সবমিলিয়ে এই ভেন্যুতেই চারটি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। তারপরও আক্ষেপটা রয়েই গেল মমিনুল হকের। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুলের কন্ঠেও আক্ষেপের সুর। আমি যদি আরো এক বা দুই সেশন খেলতে পারতাম। আরো বেশি রান না হোক অন্তত আরো বেশি সময় টিকে থাকা প্রয়োজন ছিল। রান যতটুকু করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। নিজের কাছেই ভালো লাগছে। কিন্তু আরেকটা সেশন যদি খেলতে পারতাম তাহলে টিমের জন্য ভালো হতো। টিমের জন্য খানিকটা বেশি কন্ট্রিবিউট করতে পারতাম।
প্রথম দিন সেঞ্চুরি করার পর মাঠে এমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুমিনুল যা তার স্বভাবগত নয়। মনে হতে পারে তিনি কারো দিকে কিছু একটা ইঙ্গিত করছেন। ব্যাপারটা আসলে কী ছিল। মুমিনুল বললেন, ‘বিশেষ কোনো কারণ ছিল না। আপনারা যা ভাবছেন আসলে তেমন কিছু না। চ্যালেঞ্জটা ছিল নিজের কাছে। অনেকদিন ধরে ১০০ পাচ্ছিলাম না। ৬০, ৭০, ৮০ করে আউট হচ্ছিলাম। নিজের কাছেই ব্যাপারটা একটা চ্যালেঞ্জের মত হয়ে গিয়েছিল যে একটি সেঞ্চুরি আমাকে পেতেই হবে। সেটা পেয়েই উচ্ছ¡াস চেপে রাখতে পারিনি।’ অবশেষে বড় ইনিংসটি খেলতে পেরে অনেক তৃপ্ত মুমিনুল, ‘অবশ্যই তৃপ্ত। এমনটা হলে কার না ভালো লাগে বলুন। যতটুকু খেলতে পেরেছি আমার কাছে ভালোই লেগেছে।’ তবে কিছুটা আক্ষেপ কি নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে পকেট ডায়নামাইট খ্যাত এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আরেকটা সেশন টিকে থাকতে পারলে আরো ভালো লাগতো। তবে যেটুকু হয়েছে, দলকে বড় ভিত গড়ে দিতে পেরেছি, আমি তাতেই খুশি।’ মুমিনুল যোগ করেন, ‘১৫০ থেকে ২০০ রানে যেতে হলে সেশন বাই সেশন খেলতে হয়। আমি আগে যে কাজটা করতাম যে নিজের জন্য খেলার চেষ্টা করতাম। সে কারণে ৬০, ৭০ করে আউট হতাম। কিন্তু এখন আমি ফোকাস করেছি সেশন বাই সেশন খেলার দিকে। এটা করলে এমনিতেই ১৫০ হবে। আমি আজ (গতকাল) যেভাবে আউট হয়েছি সেটা হতো না যদি সেশন বাই সেশন খেলার দিকে আরেকটু মনোনিবেশ করতে পারতাম।’
মাঠে গতকাল বেশ ভালো স্পিন ধরেছে জানিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘আমাদের স্পিনাররা বেশ ভালো বল করেছে। আগামীকাল (আজ) থেকে আরো বেশি স্পিন ধরবে। উইকেট পাওয়ার পর মিরাজকে কেন ব্রেক দেওয়া হলো জানতে চাইলে মুমিনুল বলেন, ‘অধিনায়কের কাছে মনে হয়েছে তাকে ব্রেক দেওয়া দরকার। এছাড়া ব্যাটসম্যানরা লেফটি, রাইটি ছিল। এটাও একটা ব্যাপার।’ প্রথম ইনিংসে লিড থাকাটা জরুরি বলেও মনে করেন মুমিনুল, ‘আমরা যদি কাল (আজ) প্রথম সেশনে ৩/৪টা উইকেট ফেলে দিতে পারি তাহলে হয়তো লিডে চলে যাব। আমার কাছে ওই বিশ^াস আছে। বোলারদের জায়গা মত বল করতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।