মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত করছেন আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুয়েলার। তদন্তের আওতায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের কেউ রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করেছেন কিনা, তা যাচাই করছেন তিনি। পাশাপাশি, এই তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার যে অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে, তা-ও তদন্ত করছেন মুয়েলার। এই তদন্ত নিয়ে নাজেহাল অবস্থায় আছেন প্রেসিডেন্ট। কয়েকদিন আগে খবর এসেছিল, পূর্বে এই তদন্তের দায়িত্বে থাকা এফবিআই প্রধান জেমস কমির মতো, রবার্ট মুয়েলারকেও বরখাস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু হোয়াইট হাউজের আইনি উপদেষ্টা পদত্যাগের হুমকি দিলে তিনি পিছু হটেন। এখন নতুন খবরে জানা যাচ্ছে, উল্টো মুয়েলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রধান অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে বলার কথা চিন্তাভাবনা করছেন প্রেসিডেন্ট। এভাবেই তিনি মুয়েলারকে বরখাস্ত না করেই, তাকে জব্দ করার পরিকল্পনা এঁটেছেন। নিজের এই পরিকল্পনার কথা তিনি নাকি ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরকেও জানিয়েছেন। এনবিসি নিউজের এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন এমএসএনবিসি’র বিশ্লেষক হাওয়ার্ড ফাইনম্যান। ফাইনম্যান ট্রাম্পের এক উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে লিখেন, ‘কাজটা করা হবে এভাবে: “আমরা দুঃখিত মুয়েলার, আপনি আপনার ‘ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি’ আজকে পরিচালনা করতে পারবেন না। কারণ, আজই অন্য একটি গ্র্যান্ড জুরির কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার তারিখ পড়েছে তার।” প্রতিবেদনে ট্রাম্পের ওই উপদেষ্টার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে আদৌ মুয়েলার এমন পরিস্থিতিতে পড়বেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্পের এক বন্ধুকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘আমার মনে হয়, প্রেসিডেন্ট বুঝতে পেরেছেন যে, মুয়েলারকে বরখাস্ত করলে শুধু তীব্র সমালোচনাই সৃষ্টি হবে, তা নয়! বরং, মুয়েলার ঠিক এটিই চান। কারণ, এতে করে মুয়েলার নৈতিকভাবে উঁচু স্থানে থাকতে পারবেন।’ এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য হোয়াইট হাউজে যোগাযোগ করলে কোন সাড়া মেলেনি। নিজের চারপাশের বিভিন্ন সংকটের সম্মুখীন হয়ে ট্রাম্পের মনের অবস্থ কী, তা নিয়েই ওই প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল: ‘দ্য স্টেট অব ডনাল্ড ট্রাম্প? হি থিঙ্কস ইট কুডন্ট বি অ্যানি বেটার’ (ট্রাম্পের মনের অবস্থা কী? তিনি মনে করেন পরিস্থিতি এর চেয়ে ভালো হতেই পারে না!) প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্প মনে করেন, মুয়েলারকে বরখাস্ত না করেও দমানো সম্ভব। এজন্য সম্ভাব্য কর্মকৌশলের বিকল্পও তিনি ভাবা শুরু করেছেন। তিনি এ-ও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, গণহারে আয়কর কাঁটছাঁট ও অর্থনীতির তেজিভাবের ফলে তিনি ২০২০ সালে ফের নির্বাচনে জিতবেন। এনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।