মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন থেরেসা মে। কনজারভেটিভ পার্টিতে তার অবস্থান নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই গত বুধবার তিনি এ কথা বললেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি থেমে যাওয়ার মানুষ নই। আমার এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। দেশের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্বাস করি, তাই করছি। জনগণ সরকারকে যা করতে বলেছেন, আমরা তাই করছি । ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের ব্যাপারে ভোটাভুটি হয় ২০১৬ সালের ২৩ জুন। ওই ভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে রায় দেন ব্রিটিশ ভোটাররা। এরপর বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার চূড়ান্ত পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে বলে একটি পরিসংখ্যান ফাঁস হয়ে যায়। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারাই ওই জরিপটি তৈরি করেছেন। এরপর সব দিক থেকে চাপের মুখে রয়েছেন থেরেসা মে। নিজ দলের মধ্য থেকে তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিসংখ্যানটি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করতে চাপ দিচ্ছে বিরোধী দল। এ অবস্থায় অনেকে তার পদত্যাগের দাবিও জানান। গণভোটে মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দিয়েছে উল্লেখ করে থেরেসা মে বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি। যুক্তরাজ্যের জনগণ সরকারকে যা করতে বলেছেন, আমরা তাই করছি। তারাই আমাদের ব্রেক্সিটের দিকে যেতে বলেছেন।’ সে সময় ফাঁস হওয়া ব্রেক্সিটের প্রভাব মূল্যায়ন পরিসংখ্যানের বিষয়টি নাকচ করে দেন থেরেসা। ওই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটিশ অর্থনীতিতে একটি বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিটের প্রভাব মূল্যায়ন নামে এটাকে বর্ণনা করা হলে তা ভুল হবে। এটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়।’ থেরেসা মে আরও বলেন, ‘যা হচ্ছে তা কেবল প্রাথমিক বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যমূলক ব্যাখ্যা। সেখানে কোনও মন্ত্রী স্বাক্ষর করেননি বা তা অনুমোদনও হয়নি। সত্যি বলতে ভবিষ্যতে ইইউর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন হবে, তা নির্ধারণের জন্যও এটা করা হয়নি।’ তিন দিনের সফরে এখন চীনে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। গার্ডিয়ান, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।