Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাকিবহীন চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

হঠাৎ ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বিশ^সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে সেরিজ জেতা উজ্জ্বীবিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর মত খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি দলের জন্য কতটা অপূরণীয় ক্ষতি তা জানিয়ে দিলেন দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলটাকে যেভাবে পেতে চেয়েছিলেন ঠিক সেভাবে পাননি। তারপরও শ্রীলঙ্কার সাথে টেস্ট ম্যাচ সামনে রেখে টাইগার শিবিরে সবাই উজ্জীবিত জানিয়ে রিয়াদ বলেন, ‘প্রত্যেক প্লেয়ারেরই একটা স্বপ্ন থাকে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার। সেই দৃষ্টিকোন থেকে অধিনায়ক হিসেবে আমিও কিছুটা উজ্জীবিত অবস্থায় রয়েছি। দলের সবাই ভালো খেললে অধিনায়কের কাজটা সহজ হয়ে যায়। চেষ্টা থাকবে যাতে দলগতভাবে আমরা সবাই মাঠে ভালো পারফর্ম করতে পারি। এটা সকলের জন্যই একটা বড় সুযোগ। সকলেরই উচিৎ দলের জন্য ভালো কিছু করা। সাকিব না থাকায় আমাদের কাজটা কঠিন হয়েছে ঠিকই, তবে অসম্ভব নয়।’
মাহমুদউল্লাহ যোগ করেন, ‘ক্রিকেটারদের জীবনে চ্যালেঞ্জ থাকবেই। সবসময় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। আর টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে আলাদা একটি ফরম্যাট। পাঁচটা দিনই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সেশন বাই সেশন খেলাটা জরুরী। আমাদের যে টিমটা আছে আমরা যদি সব সিদ্ধান্ত পজিটিভলি নিতে এবং বাস্তবায়ন করতে পারি ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।’ ত্রিদেশীয় সিরিজে হেরে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করে অযথা সময় নষ্ট করতে চান না রিয়াদ। তার ভাষায়, ‘যেটা চলে গেছে সেটা আর ফিরে আসবে না। সামনে টেস্ট ম্যাচ। আর টেস্টে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। সেই চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে যদি এগিয়ে যেতে পারি ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ।’
চট্টগ্রামের উইকেট প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, ‘উইকেট ফ্ল্যাট। কিছুটা স্পিনও থাকে। আমাদের ব্যাটসম্যান এবং বোলারদের নিতে হবে সেইসব দায়িত্ব। প্রথমে বোলিং করলে দ্রæত উইকেট নিতে হবে। ব্যাটিং করলে পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে হবে যাতে বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারি।’ তবে হোম কন্ডিশনে নিজের দলকে এগিয়ে রাখলেন তিনি।
চলতি সিরিজে বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন ছয়জন স্পিনার। এর যৌক্তিকতা জানতে চাইলে রিয়াদ বলেন, ‘ছয়জন স্পিনার থাকার কী অর্থ সেটা আপনারা অনুমান করতে পারছেন। উইকেট মনে হচ্ছে স্পিন বান্ধব হবে। আর তাছাড়া আমরা মনে করি যে আমাদের স্পিন ডিপার্টমেন্ট অনেক ভালো। তাদের ওপর আমরা নির্ভর করি। এটা আমাদের একটা বড় শক্তির জায়গা।’
অলরাউন্ডার রিয়াদ, সতীর্থ রিয়াদ আর অধিনায়ক রিয়াদের মধ্যে পার্থক্য কি থাকবে বলে মনে করেন? এমন প্রশ্নের কড়া জবাবই দিলেন নব্য অধিনায়ক, ‘বিজনেসে কোনো ছাড় দেয়া যায় না। আমিও খেলার মাঠে কোনো কিছুতে ছাড় দেব না। যেই হোক আর যেভাবে হোক তাকে যতটা সম্ভব সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করব। সেটা কঠোর হয়েই হোক আর ভালোভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েই হোক। দিন শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং বাংলাদেশকে ভালো কিছু দিতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। রিয়াদ বলেন, ‘মাঠের মধ্যে অনেক সময় অনেক বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই সিদ্ধান্তগুলো মাঝে মধ্যে এদিক সেদিক হয়ে যায়। অধিনায়কদের একটা বড় গুণ হচ্ছে মাথা ঠান্ডা রাখা। আমি বিশ^াস করি আপনি মাথা যত ঠান্ডা রাখবেন ততই আপনার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে। চেষ্টা করব সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করতে। নিজের পারফর্মেন্স দিয়ে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে চেষ্টা থাকবে আমার।’



 

Show all comments
  • MD Hasan Mia ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ৯:৪৯ এএম says : 0
    সাকিব খেলা মানে 2 জন খেলা।সাকিব না থাকায় 1 জনকে মিস করবো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ