পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার্থীদের নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনকালে ভিসির সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিসি ও প্রক্টরের কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণকে ‘ঘরের ভেতর ও বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দাবি থাকলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু বেপরোয়া যে মনোভাব, তাতে ধারণা করা হচ্ছে- ভেতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে কোনো ষড়যন্ত্র ঘরের ভেতর থেকেও হতে পারে, বাইরে থেকেও হতে পারে। ঘরের অনেক ছাত্র সংগঠন আছে, আবার এদের মদদপুষ্ট শিক্ষকও রয়েছেন। আমরা এ ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক ফায়দার অংশ মনে করি। আমরা এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবো না।
ঘটনার দিন অবরুদ্ধ ভিসিকে উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারস্থ না হয়ে আরেকটি ছাত্র সংগঠনের হামলা বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ আসা মাত্রই আরেকটি সেøাগান উঠত- বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ কেন, কর্তৃপক্ষ জবাব চাই? আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী সবাই মিলে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে, আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করতে পারি। পরে ছাত্র সংগঠনটি এসে যে ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়টিও তদন্তে আছে।
মাকসুদ কামাল আরো বলেন, তার আগে চার ঘণ্টা ভিসিকে অবরুদ্ধ করে যেসব ঘটনা ঘটেছে এবং প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকান্ড ব্যাঘাত সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটি কোনোভাবে কাম্য নয়। পরবর্তী ছাত্র সংগঠনটি এসেছে, সেটিও কোনোভাবে কাম্য নয়। আমরা আশা করছি, বিষয়গুলো শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ১৫ জানুয়ারি নিপীড়নের যে অভিযোগ এসেছে, তার ভিডিও ফুটেজ আমরা দেখেছি। যদি এমন হয়ে থাকে সে ঘটনারও আমরা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু সে ঘটনার বিচার করতে হলে তদন্ত কমিটিকে অভিযোগকারীদের সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত সে ধরনের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।
মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান, অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জনসহ দেড় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারি চার দফা দাবিতে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দে’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ভিসির কার্যালয় অবরোধ করে। প্রশাসনিক ভবনের তিনটি গেট ভেঙে ভিসির কক্ষের সামনে পৌঁছে আন্দোলনকারীরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ভিসি ও প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে বিকেলের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ভিসিকে ‘উদ্ধার’ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।