Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুস্তাফিজের দ্রততম ৫০

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


স্পোর্টস রিপোর্টার, মিরপুর থেকে
রেকর্ডটির হাতছানি ছিল তার সামনে বেশ কিছুদিন ধরেই। গত ম্যাচেও রেকর্ডটি ছোঁয়ার তাড়না থেকে নিজে থেকে চেয়ে নিয়েছিলেন বোলিং। তবে উইকেটের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত মাইলফলক ছুঁলেন ফাইনালেই। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রæততম ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন মুস্তাফিজুর রহমান। গতকাল ৪৯ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল শুরু করেছিলেন মুস্তাফিজ। মিরপুরে এদিনও অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়েছে বেশ। শেষ পর্যন্ত বাধার দেয়াল হয়ে থাকা উপুল থারাঙ্গাকে ৩৬তম ওভারে বোল্ড করে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ।
এই উইকেটেরও আগে এক দফা হয়েছে নাটক। ওই ওভারে প্রথমে এলবিডবিøউ করেছিলেন থারাঙ্গাকে। কিন্ত রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লঙ্কান এই ওপেনার। পরের বলেই বোল্ড করে আনন্দে ভাসেন বাঁহাতি পেসার। ২৭ ম্যাচে ৫১ উইকেট হলো মুস্তাফিজের। পরে নিয়েছেন ধনঞ্জয়ার উইকেটটিও। ১০ ওভার শেষে ২৯ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। এই কীর্তি ছুঁয়ে লেন প্যাসকো, প্যাট্রিক প্যাটারসন, হামিদ হাসান, রাশিদ খান ও কার্টলি অ্যামব্রোসদের সাথে ৮ম দ্রæততম বোলার হিসেবে একই কাতারে নাম লেখালেন কাটার মাস্টার।
১৯ ম্যাচে ৫০ ওয়ানডে উইকেট পেয়ে সবচেয়ে দ্রæততম লঙ্কান স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস। সমান ২৩ ম্যাচে ৫০ উইকেট পেয়েছিলেন অজিত আগারকার ও ম্যাকলেনাঘান। ডেনিস লিলি ও হাসান আলির লেগেছিল ২৪ ম্যাচ। ম্যাট হেনরি ও শেন ওয়ার্ন ৫০ উইকেট পেতে অপেক্ষা করেছিলেন ২৫ ম্যাচ পর্যন্ত। ৩২ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশর আগের রেকর্ডটি ছিল আব্দুর রাজ্জাকের। পেসারদের মধ্যে দ্রæততম ছিলেন আরেক বাঁহাতি পেসার সৈয়দ রাসেল। ৩৯ ম্যাচে ছুঁয়েছিলেন ৫০ উইকেট।
ওয়ানডে ক্রিকেটে মুস্তাফিজের শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ওয়ানডেতে ৫ উইকেট, পরের ম্যাচে নিলেন ৬টি। প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১১ উইকেট নিতে পারেননি আর কোনো ক্রিকেটার। নবম ম্যাচে আবার পান ৫ উইকেট। মাঝে চোট ছোবল দিয়েছে। এরপরও ধারাবাহিকতা ছিল। ৪২ উইকেট হয়ে গিয়েছিল ১৮ ম্যাচেই। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা কেটেছে দুঃস্বপ্নের মত। চার ম্যাচে উইকেট নিতে পেরেছিলেন মোটে একটি, ছিলেন খরুচে। পরের ৮ উইকেট নিতে তাই লেগে গেল ৯ ম্যাচ।
চোট থেকে ফেরার পর এই ত্রিদেশীয় সিরিজেই দেখা মিলছে চেনা ছন্দের মুস্তাফিজের। ব্যাটসম্যানদের ভড়কে দিচ্ছেন মায়াবী সব কাটারে। কব্জির ঝাঁকুনিতে বারবার ফেলছেন বেকায়দায়। উইকেট খুব বেশি না পেলেও তার বলেই সবচেয়ে বেশি ভুগেছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচের দিকে দেখলে মনে হবে মুস্তাফিজ তো ‘ডট মাস্টার’। প্রথম ম্যাচে দিয়েছিলেন ৪১টি ডট বল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ ওভার বল করেই ১৬টি ডট। গতকালের ফাইনালে ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৫টি ডট। সিরিজে ৫ ম্যাচ মিলিয়ে মুস্তাফিজ ছুঁড়েছেন ২০০টি বল, যার ১২৯টিতেই রান নিতে পারেন নি ব্যাটসম্যনরা। এই কীর্তিতে এসব পরিসংখ্যানেরও উর্দ্ধে উঠে গেলেন সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ