মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : রাখাইন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি থেকে পদত্যাগের পর মার্কিন কূটনীতিক বিল রিচার্ডসন সু চিকে বন্ধু সম্বোধন করে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের মানসিকতাকে অবরুদ্ধ করেছেন তিনি। তবে মিয়ানমারে পশ্চিমা অবরোধ চাইছেন না রিচার্ডসন। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে সু চিকে বের করে আনতে তাকে আরেকটিবার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই পশ্চিমা কূটনীতিক। কোনও ধরনের চোখে ধূলো দেওয়া কাজের অংশ হতে চান না দাবি করে মিয়ানমার ইস্যুতে গঠিত দশ সদস্যের আন্তর্জাতিক পরামর্শক কমিটি থেকে পদত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান রিচার্ডসন। সেখান থেকেই ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে রিচার্ডসন গত শুক্রবার এসব কথা বলেন। গত সোমবার আনান কমিশনের সুপারিশে গঠিত আন্তর্জাতিক পরামর্শক বোর্ডের সভায় মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারের নেতা ও রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি’র সঙ্গে মিলিত হন রিচার্ডসন। ওই বৈঠকের পর বোর্ড থেকে পদত্যাগ করা রিচার্ডসন বিবৃতিতে জানান বৈঠকে সু চি এমনই অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছিলেন যে,ওই সময় কাছাকাছি থাকলে হয়তো তিনি আমাকে মেরেই বসতেন। কোনও ধরনের চোখে ধূলো দেয়ার কাজের অংশ হবেন না দাবি করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ম্যাক্সিকোতে ফিরে যান। শুক্রবার নিউ ম্যাক্সিকো থেকেই রয়টার্সকে সাক্ষাতকার দেন তিনি। কয়েক দিনের ব্যবধানে সু চির প্রশ্নে রিচার্ডসন বললেন,‘পশ্চিমা সরকার, মানবাধিকার গ্রæপ, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভয়াবহ। আর মনে করি সু চি নিজেই এটা ডেকে এনেছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার সম্পর্কজনিত বিচ্ছিন্নতা তার জন্য ইতিবাচকই হয়েছে। নিজেকে তিনি বিচ্ছিন্ন রাখতে পেরেছেন। এমন কী দেশের অভ্যন্তরেও তিনি তেমন একটা বাইরে আসেন না। আমার মনে হয়েছে, তিনি একটি বুদবুদের মধ্যে বসবাস করছেন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময়ে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা রিচার্ডসন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলাপেও মধ্যস্থতা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই সাবেক কূটনীতিকের। সু চিকে বুদবুদের ভেতর থেকে বের করে আনতে পশ্চিমা বিশ্বের উচিত তাকে আরেকটিবার সুযোগ দেওয়া। রিচার্ডসন বলেন, আমরা চাই না সু চি শুধুমাত্র আসিয়ান বা চীন ও রাশিয়ার কথা শুনুক। পশ্চিমের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বাড়ানো দরকার। আমরা সবাই পুরনো বন্ধু। তার পরিবর্তন দরকার। সম্ভবত পশ্চিমেরও উচিত হবে অবরোধ আরোপ না করে তাকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া। গত বছরের ২৫ আগস্ট স্থানীয় বৌদ্ধদের সহায়তায় রাখাইনে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।