নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দীর্ঘ প্রায় দুইযুগ ব্যাডমিন্টন র্যাকেট হাতে মাতিয়ে বেড়িয়েছেন কোর্ট। জিতেছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। হয়েছেন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের হয়ে অসংখ্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলে সুনাম কুড়িয়েছেন। সেই তারকা শাটলার এনায়েত উল্লাহ খান আর খেলবেন না ব্যাডমিন্টন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অবসান ঘটিয়ে অবসরে যাচ্ছেন তিনি। আজ পাবনায় শুরু হওয়া জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপেই অবসর নেবেন এনায়েত। এ প্রসঙ্গে তার কথা, ‘অনেকতো খেললাম। এবার নতুনদের জায়গা করে দিতে চাই। তাই এ চ্যাম্পিয়নশিপেই অবসরে যাবো।’
সেই ১৯৯৫ সালে র্যাকেট হাতে ব্যাডমিন্টনে ক্যারিয়ার শুরু এনায়েতের। পরের বছরেই সুযোগ পান জাতীয় দলে। ১৯৯৬ সালে জাতীয় দলের হয়ে বাংলাদেশ গেমসে খেললেও অভিজ্ঞতার অভাবে সেরা সাফল্য পাননি। তবে ১৯৯৮ সাল থেকে অদ্যাবধি সবগুলো টুর্নামেন্টেই অংশ নিয়েছেন এনায়েত। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, সামার ওপেন এবং স্বাধীনতা কাপ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে সেরার মুকুট পড়েছেন বছরের পর বছর। ক্যারিয়ারে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে একবার চ্যাম্পিয়ন ও তিনটিতে রানারআপ হয়েছেন। সামার ওপেন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের চারটিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতেছেন এবং রানারআপ হয়েছেন একটিতে। স্বাধীতা কাপে দু’বার সেরার খেতাব জিতে নিয়েছেন এই কৃতি শাটলার।
আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও এনায়েতের সাফল্য উল্লেখ করার মতো। ২০০১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন্স চ্যাম্পিয়নশিপে দলগতে শিরোপা এনে দিয়েছেন দেশকে। পরের বছর ঢাকাতেই অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান স্যাটেলাইট চ্যাম্পিয়নশিপ। অবশ্য ওই টুর্নামেন্টে দলগতে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। তবে তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টি ছিল ২০০৮ সালে। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন্স চ্যাম্পিয়নশিপের দলগতে চ্যাম্পিয়ন ও ব্যক্তিগত এককে রানারআপ ট্রফি জেতেন এনায়েত। আর ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১১তম সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জপদক জয়ের অন্যতম শাটলার ছিলেন এই শাটলার।
খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কোচিংয়েও নিজেকে জড়িয়ে রাখেন এনায়েত। গত বছর পুলিশ ব্যাডমিন্টন দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান। মালয়েশিয়ায় এশিয়ান অলিম্পিক প্রোজেক্টে (এওপি) ব্যাডমিন্টন এশিয়ার কোচ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া ‘এনালিনা ব্যাডমিন্টন একাডেমি’ নামে একটি ক্লাব গঠন করেন তিনি। যেখানে শাটলার তৈরীর কাজ করছেন এনায়েত ও তার সহধর্মিনী এবং জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এলিনা সুলতানা।
অবসরে গেলে ব্যাডমিন্টনেই নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চান এনায়েত। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের একটি একাডেমি রয়েছে। পুলিশ দলে কোচের দায়িত্ব পালন করছি। ইচ্ছে রয়েছে ভবিষ্যতে জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের কোচের দায়িত্ব পালন করার। দেশকে ভালোমানের শাটলার উপহার দিতে চাই। সেই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে দেশকে পদক জেতাতে চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।