নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কবিতা
পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী
প্রকৃতির শ্যামল প্রান্তরে নেমে এল শীত
নেমে এল শীত প্রকৃতির শ্যামল প্রান্তরে
ক্রমশঃ শীতের শীতল হাওয়া প্রকৃতিরে
করতেছে বিষাদিত নীল
বর্ষার প্লাবনে, শরতের ভোর দেখে দেখে আর হেমন্তের
হৈমন্তী বাতাসে বেড়ে ওঠা প্রকৃতির
ওসব লালিত অনিন্দ সুন্দরী মেয়ে গাছেদের
নগ্ন আলিঙ্গনে ঝাপটে-খামচে ধরে শীত
ওর হিমেলী উন্মত্ত চুম্বনে উলঙ্গ হয় বধু
বৃক্ষরাজী। প্রমত্ত বৃদ্ধের মত জোড় পূর্বক
আঁকড়ে ধরে বন-কাননের বৃক্ষ মাতাদের
কুল-গোত্র কিছুই মানে না প্রচন্ড-দুর্দান্ত শীত
প্রকৃতির স্বাধীন-সুস্থির পরিবেশে
শুরু করছে অরাজকতা প্রতিবাদী সচেতন
পুরুষ বৃক্ষরা মৌণ- গৌণ প্রত্যক্ষ-
পরোক্ষ উভয় প্রকারে, প্রভাবশালী বৃক্ষের
মহিলাসমাজ প্রতিবাদী ঝড় তুলে অরণ্যে
-জঙ্গলে । কিন্তু সব প্রতিবাদ নিমিষে
গুমড়ে পড়ে শীতের প্রকোপে। তবুও আশায়
বাধে মন, ঋতুরাজ্যে ঋতুরাজের স্বপ্নীল
আগমনের প্রতীক্ষিত পথ চেয়ে চেয়ে।
সাকিব জামাল
শীতের রাতে
হঠাৎ, হঠাৎ মনে পড়ে
কিশোর বেলার সে আড্ডার সময়টুকু
যখন এমন শীতে হতো মধ্যরাত
কি যে মজা ছিলো- ডানপিঠি বন্ধুদের উৎপাতে
সবে মিলে ধান কাঁটা মাঠে কুড়েঘর বানানোর পরে
খেজুর রসের পায়েস রেঁধে খেতাম বসে আয়েশ করে
নানা গল্পে, হৈ হুল্লোরে করতাম
ছিলাম সবাই পরানের পরান- আপনের আপন
সকাল হলেই পড়ত চিৎকার, চেঁচামেচি হতো বেশ
কার গাছের রস কে নিলো হায়- বলতো তারা
এ কোন দুষ্ট ছেলের দেশ আমরা ভীষণ লজ্জা পেতাম,
লুকিয়ে কাটতো দিন এখানে-ওখানে,
চুপি চুপি বলতাম বয়োজেষ্ঠ্যদের ‘গাজীর গান’ শুনাবো দল এনে
হেসে দিয়ে তারা বলতো সবাই- কবে আনবি দল, কবে ?
আমরা বলতাম- ধান দাও, চাল দাও- বিক্রি করে টাকা আনি তবে খুশি হয়ে মাততো তারা আমাদের সাথে-
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।