নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইমামুল হাবীব বাপ্পি : বিসিএলের লংগার ভার্সনে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। যে কারণে তিন রাউন্ডের ছয় ম্যাচে জয়-পরাজয় দেখা গেছে মাত্র একবার। প্রথম রাউন্ডের সেই ম্যাচে জয়ী উত্তরাঞ্চল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। বাকি পাঁচ ম্যাচই ড্র।
আগের পর্বে তবুও একটু-আধটু উত্তাপ-উৎকন্ঠার গন্ধ ছিল, কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ দুটি ড্র হয়েছে কোন প্রকার উত্তাপ ছাড়াই। শেষ দিনেও পিচে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। পিচ থেকে না সহায়তা পেয়েছেন পেসাররা, না স্পিনাররা। গতকাল শেষ দিনেও দুই ম্যাচে ১০টি মাত্র মোট উইকেট! অথচ সেঞ্চুরির দেখা মিলেছে চারটিÑ দুটি রাজশাহীতে, বাকি দুটি খুলনায় অনুষ্ঠেয় অপর ম্যাচে। সব মিলে তৃতীয় রাউন্ডে সেঞ্চুরি এসেছে ১২টি। এখানেও দুই ম্যাচেই সমতা।
রাজশাহীতে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে উত্তরাঞ্চলের হয়ে জোড়া শতক হাঁকিয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এর আগে বাংলাদেশের হয় এই কীর্তি গড়েছেন আরো ১০ ক্রিকেটার। প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের পর এবার ১৫০ রানে আউট হন জুনায়েদ। প্রথম ইনিংসে ৬ রান করা আরিফুল হকও পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। মাত্র ৮৩ বলে এই মিডিলঅর্ডার ৬টি করে ছক্কা চারে করেছেন ১০৩ রান। দক্ষিণের ৪৩৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩৫৬ রান তোলে জহুরুল ইসলামের উত্তর। এর আগে হাতের ২ উইকেটে মাত্র ৪ রান যোগ করে ৪৩৩ রানে শেষ হয় দক্ষিণের প্রথম ইনিংস। ১৪৮ রানে অপরাজিত থাকা তুষার ইমরান আউট হন কোন রান যোগ না করেই। দক্ষিণের আরেক সেঞ্চুরিয়ান ইমরুল কায়েস (১১৮)।
খুলনায় পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল ম্যাচেও শতক হঁকিয়েছেন ছয়জন ব্যাটসম্যান। রানের বন্যা বইয়ে সবকটি শতকই করেছে পূর্বাঞ্চল। যে কারণে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। এর মধ্যে জাকির হোসেন আবার করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক (৩২০ বলে ২৩ চারে ২১১ রান)। প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চলের ৬ উইকেটে ৭৩৫ রানের পথে সেঞ্চুরি করেছিলেন রেকর্ড চার ব্যাটসম্যান- জাকিরের পাশাপাশি লিটন দাশ (১১২), ইয়াসির আলী (১৩২) ও অলক কাপালি (১৬৫*)। দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ২২৬ রানের পথে অপরাজিত শতক হাঁকান দুই ওপেনার তাসামুল হক (১০৮*) ও মেহেদী মারুফ (১১১*)। তবে বিষ্ময় ছাপিয়ে প্রশ্নের বিষয় হলো, প্রথম ইনিংসে ৩০৭ রানে এগিয়ে থেকেও কেন মধ্যাঞ্চলকে ফলো-অনে ফেললেন না পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। মধ্যাঞ্চলও কম বিষ্ময় উপহার দিল কোথায়? দ্বিতীয় ইনিংসে মার্শাল আয়ুবের দলের হয়ে ৫২ ওভারে বোলিং করেছেন যে ১১ জন খেলোয়াড়ই! এর আগে হাতে ৩ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা মধ্য অল আউট হয় ৪২৮ রানে।
নিরুত্তাপ ড্রয়ের পরও এই পর্বটি বিশেষভাবে মনে রাখবেন দক্ষিণাঞ্চলের দুই ‘ঘরোয়া কিংবদন্তি’Ñ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা তুষার ইমরান ও ৫০০ উইকেটের মাইলফলক পেরুনো আব্দুর রাজ্জক রাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল, রাজশাহী
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৪০৮
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১৫.১ ওভারে ৪৩৩ (শাহরিয়ার ১৪, সৌম্য ২৯, ইমরুল ১১৮, তুষার ১৪৮, মোসাদ্দেক ৮, আল আমিন জুনিয়র ৪৬, নুরুল ৩৫, রাজ্জাক ১৯; শফিউল ৩/৫৮, শুভাশিস ১/১০৩, তাইজুল ৪/১৩৬, আরিফুল ১/৮১)।
উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস : ৭১.৩ ওভারে ৩৫৬/৫ (জহুরুল ১৮, জুনায়েদ ১৫০, নাঈম ৬১, আরিফুল ১০৩*, ধীমান ১২*; রাব্বি ১/৩১, আল আমিন ১/১৬, রাজ্জাক ১/১৭৫, সৌম্য ১/২৬, মোসাদ্দেক ১/৫৪, আল আমিন জুনিয়র ০/৩০, তুষার ০/১৫)।
ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা : জুনায়েদ সিদ্দিকি (উত্তরাঞ্চল)।
পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, খুলনা
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৭৩৫/৬ ডিক্লে.
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ১২১.১ ওভার ৪২৮ (রবি ১৭, সাদমান ৫৬, মেহরাব জুনি. ১০, রকিবুল ৮৫, মার্শাল ৬৫, শুভাগত ৭৩, তানবীর ৫৬, ইরফান ৩০, হায়দার ২০; খালেদ ১/৫৬, সোহাগ ৭/১৪১, এনামুল জুনি. ২/১০৬)।
পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস : ৫২ ওভারে ২২৬/০ (তাসামুল ১০৮*, মারুফ ১১১*; তাসকিন ০/২৫, হায়দার ০/১৪, মোশাররফ ০/৩৬, তানবীর ০/৪২, শুভাগত ০/৭, মেহরাব জুনিয়র ০/২৬, রবি ০/১৪, রকিবুল ০/২৪, ইরফান ০/১৪, সাদমান ০/১০, মার্শাল ০/৯)।
ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা : জাকির হাসান (পূর্বাঞ্চল)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।