Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খতমে নুবুওয়াতের আকিদা মানা ঈমানের শর্ত -এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ৬:৩৬ পিএম | আপডেট : ৮:০৭ পিএম, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮

তাহরিকে খাতমে নুবুওয়াত বাংলাদেশের আমির ও জৌনপুরী পীর সাহেব আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী বলেছেন, দুনিয়া ও আখেরাতের প্রধান বিষয় ঈমান। কিয়ামতে নাযাত পাবে প্রকৃত ঈমানদার মুমিনগণ। রসুল (সা.) সর্বশেষ নবী কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবী আসবেন না । ঈমান ও ইসলামের প্রধান ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ ও রিসালাত অর্থাৎ খাতমে নুবুওয়াতের আকিদা। এটা মানা ঈমানের অংশ। যারা এটা মানবেনা তারা মুসলমান থাকতে পারে না এবং কাফির হয়ে যাবে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়াত সিলেট বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পীর সাহেব বলেন, খাতমে নুবুওয়াতের আকিদা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কুরআনের আয়াত ও হাদিস রয়েছে। পবিত্র কুরআনের সূরায়ে আহযাবে ৪০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, রসুল (সা.) সর্বশেষ নবী । অর্থাৎ রসুল (সা.) নবী না হলে মহান আল্লাহ তায়ালা তার একজন পুত্র সন্তানকে জীবিত রেখে তাকে পরবর্তী নবী নির্বাচিত করতেন। সুতরাং রসুল (সা.) সর্বশেষ নবী রসুল (সা.) বলেছেন আমি সর্বশেষ নবী আমার পরে কোন নবী আসবে না (বুখারী, মুসলিম, তিরমীযি শরীফ)

পীর সাহেব আরো বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ৮০টি জিহাদে মোট নিহত হয়েছে সাহাবি ও বিরোধীপক্ষসহ ১০১৮ জন। জিহাদ মানুষ হত্যার জন্য নয়। অপরদিকে খাতমে নুবুওয়াত বিরোধী কাজ্জাবের বিরুদ্ধে জিহাদে মোট সাহাবি নিহত হয়েছিলেন ২৪০০ জন। সুতরাং খাতমে নুবুওয়াতের জিহাদ সব চেয়ে বড় জিহাদ ও আন্দোলন।

রসুল (সা.) এর চাচা হামজা (রা.) এর হত্যাকারী ওয়াসী, খাতমে নুবুওয়াত বিরোধী কাজ্জাবকে হত্যা করায়, রসুল (সা.) তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সুতরাং খাতমে নুবুওয়াতের মর্যাদা অনেক বেশি। হযরত ঈসা (আ.) দামেস্কের জামে মসজিদে অবতরণ করে মসজিদে প্রবেশ করলে ইমাম মাহাদী (আ.) তাকে আসরের নামাযের ইমামতি করার কথা বলবেন তখন হযরত ঈশা (আ.) বলবেন, আমি নবী হিসেবে নয়, উম্মত হিসেবে আগমন করেছি। আপনি ইমামতি করেন। সুতরাং আবারো তিনি প্রমাণ করবেন রসুল (সা.) সর্বশেষ নবী । তাই খাতমে নুবুওয়াতের অস্বীকার কারীদের প্রতিহত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং কাদিয়ানীদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি আদায় করতে হবে।

হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম মিয়াজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বয়ান করেন, ভারতের জৌনপুর থেকে আগত হাদীয়ে বাঙ্গাল শাহ্ কারামত আলী জৌনপুরীর অন্যতম আওলাদ, আল্লামা আবু মুসা আশয়ারী সিদ্দিকী আল কোরইশী পীর সাহেব জৌনপুরী (ভারত)। আল্লামা মুফতী এহসান উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী, আল্লামা ক্বারি সাইয়্যেদ ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী, আল্লামা ওমার আহম্মদ সিদ্দিকী আল কোরাইশী জৌনপুরী। মাহফিলের সমন্বয়কারী ছিলেন জনাব ফয়েজ আহমেদ উজ্জল, বিমান প্রকৌশলী ও বদ্দরুল ইসলাম আকন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ