পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন,সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মচারী ও লেকহেড স্কুলের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতালেব ও নাসিরকে রোববার গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। আর মতিনকে গ্রেফতার করা হয় জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে।
গ্রেফতারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী ও মন্ত্রীর পিওর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
জানা গেছে, শনিবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রীর পিও মো. মোতালেব হোসেনকে রাজধানীর বসিলা এলাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। মোতালেব সেখানে তার নির্মাণাধীন বহুতল বাড়ির কাজ তদারক করতে গিয়েছিলেন। এর আগে রাজধানীর গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেদ হাসান মতিন নিখোঁজ হন।
তবে রোববার রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. নাসির উদ্দিনকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তার সঙ্গে যোগাযোগের সূত্র ধরে মোতালেব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর এক অভিযানে লেকহেড স্কুলের মালিক মো. খালেদ হাসান মতিনকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন এবং মন্ত্রীর পিও মোতালেব হোসেন এমপিও, বদলি, পদোন্নতি ও নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। তাদের সঙ্গে ক্যাডার কর্মকর্তাসহ অনেক রাঘববোয়ালও জড়িত। এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি করে আসছিলেন। এর মাধ্যমে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেন।
অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন, যে নির্মাণাধীন ভবনের নিচ থেকে পিওকে তুলে নেয়া হয়,সেটি তার নিজের। একজন পিওর পক্ষে কীভাবে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ সম্ভব?
এই দুজন ‘নিখোঁজ’ থাকা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গতকাল রাতে তাঁদের গ্রেফতার দেখানো হয়। নাসিরউদ্দিন নিখোঁজ হয়েছিলেন গত বৃহস্পতিবার। উচ্চমান সহকারী হয়েও খিলক্ষেতের কনকর্ড লেকসিটির ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। আর মোতালেব শনিবার রাজধানীর বছিলায় নিজের নির্মাণাধীন ছয়তলা বাড়ির তদারক করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এই দুজনের সম্পত্তি ও জীবনযাপন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে নানা আলোচনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।