Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আম আদমির ২০ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণায় প্রেসিডেন্টের সম্মতি

স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ আমলে নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির ২০ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণায় সম্মতি দিয়েছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। নিয়মবিধি ভেঙে লাভজনক পদে থাকায় কমিশনের প্রস্তাবমতো ওই ২০ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করেছেন তিনি। রোববারই প্রেসিডেন্ট সই করেছেন ওই সুপারিশে। দলীয় বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক” এবং গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়েছেন আম আদমি নেতা আশুতোষ।
প্রেসিডেন্টকে উদ্ধৃত করে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনের মতামতের মাপকাঠিতে দিল্লি বিধানসভার ২০ সদস্যের পদ খারিজ করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানায়, বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, জনপ্রতিনিধিরা এমন কোনও সরকারি পদে থাকতে পারবেন না, যাতে নানা সুযোগসুবিধা বা ক্ষমতা মেলে; যদি না সেই পদকে লাভজনক পদের আওতার বাইরে রাখতে আইন পাস হয়।
আম আদমি পার্টির ওই বিধায়করা সংসদীয় সচিব পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এই নিয়োগের ফলে তারা লাভজনক পদ পেয়েছেন বলে দাবি করে পিটিশন দিয়েছিলেন জনৈক আবেদনকারী। সেই দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন গত শুক্রবার প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ পাঠায়। দিল্লির শাসক দলের ২০ বিধায়কের সদস্যপদ বাতিলে সম্মতি দিতে সুপারিশ করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০ বিধায়ক দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশকে চ্যালেঞ্জ জানান তারা। বিচারপতি রেখা পাল্লি এই ব্যাপারে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করতে অস্বীকার করে।
সংসদীয় সচিব পদটিকে ‘লাভজনক পদ’-এর বাইরে রেখে একটি বিল ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছিল দিল্লি সরকার। প্রেসিডেন্টর কাছে আপত্তি জানান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তখন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বলেন প্রণব মুখার্জি। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ২০ জন বিধায়ককে কারণ দর্শাও নোটিস পাঠায় কমিশন। গত শুক্রবার কমিশন প্রেসিডেন্টকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়। তাতে ওই বিধায়কদের বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়। অবশ্য, ২০ বিধায়ক বরখাস্ত হলেও বিধানসভায় আম আদমির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৬টি আসনই কেজরিওয়াল সরকারের ছিল। এখন ২০টি বাদ গেলে এ সংখ্যা ৪৬ এ দাঁড়াবে যা মোট আসনের ৫০ শতাংশের বেশি।
স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস
এদিকে লাভজনক পদে থাকায় দেশটির দুর্নীতিবিরোধী আম আদমি দলের ২০ আইনপ্রণেতাকে ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দের বরখাস্ত করাকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। সূত্র : সাউথইস্ট মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ