Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অচল সরকার নিয়ে ট্রাম্পের দ্বিতীয় বছর শুরু হলো

| প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বাজেট সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে এক অচলাবস্থার সরকারকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলের দ্বিতীয় বছরে পা রাখলেন। সঙ্গে নিয়ে এলেন তার নেতৃত্বের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের অনাস্থা আর ইতিহাসের আধুনিক মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে কম জনপ্রিয়তা। বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের প্রতিও অনাস্থা বাড়িয়েছেন তিনি। মুসলিম বিদ্বেষী অভিবাসী আইন, মেক্সিকোর প্রতি বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, রাশিয়ার সঙ্গে সখ্য, নারীর প্রতি সহিংসতা, তেহরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা ভেঙে দেওয়া, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি, ফিলিস্তিনবিরোধী মধ্যপ্রাচ্য নীতি এবং মিডিয়ার প্রতি বৈরিতা নিয়ে তিনি বিশ্ব মিডিয়ায় থেকেছেন বছরজুড়ে। সাংবাদিক সুরক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) তাকে ‘বৈশ্বিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণকারী’দের তালিকায় শীর্ষে রেখেছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বারাক ওবামার স্থলাভিষিক্ত হন ট্রাম্প। পশ্চিমের কথিত বিশ্বায়নের রাজনীতি ও অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করান তিনি। নব্য উদারবাদী অর্থব্যবস্থা মানুষকে যেখানে বিপন্ন করেছিল, ট্রাম্পের হাত ধরে নগ্ন বাজার আর পুরনো সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ সেখানে নিজের উত্থান ঘোষণা করে। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট সূত্রে তিনি বিভক্ত করেন মার্কিনসহ বিশ্বজনতাকে। ‘আমরা’ আর ‘ওরা’ বিভাজনের মধ্য দিয়ে ঘৃণার বেসাতি ছড়াতে থাকেন কৃষ্ণাঙ্গ-মেক্সিকান-মুসলমানদের বিরুদ্ধে। প্রথমেই প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার পরিকল্পনা। এরপর সবার জন্য জরুরি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসেন তিনি। ইউনেসকো থেকেও সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র। ৬টি মুসলিম দেশসহ ৮টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব করেও ব্যাপক সমালোচিত হন ট্রাম্প। নিয়েছেন একের পর এক অভিবাসী প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ। সর্বশেষ মধ্যপ্রাচ্যে পড়েছে তার নগ্ন সামাজ্যবাদী থাবা। জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত উসকে দিয়েছেন। ‘আমেরিকা ফার্স্ট› নীতিতে অবিচল ট্রাম্প ৭ লাখ ড্রিমার অধিবাসীকে তাড়িয়ে দিতে চান। ডেমোক্র্যাটরা এতে রাজি হয়নি। তাই সমঝোতা ভেস্তে গেছে। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ