পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা ছ’টার দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
দলের একাধিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ছ’টার দিকে নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার কক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের কিছু সাবেক নেতা তার কক্ষের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন সংগঠনটির সাবেক কয়েকজন নেতা ওই কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করলে কক্ষটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় সহসম্পাদক পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা ওই কক্ষের সামনে বিভিন্ন সেøাগান দিতে থাকেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এভাবে প্রায় কিছু সময় ওবায়দুল কাদের কক্ষের ভেতরেই থাকেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা কক্ষের বাইরে থেকে ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান, আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে কেন বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা-কর্মীদের স্থান দেওয়া হলো এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের কেন মূল্যায়ন করা হলো না। ওবায়দুল কাদের ভেতর থেকে এর কোনো জবাব দেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর একপর্যায়ে পাশের কক্ষে থাকা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বেরিয়ে আসেন। তারা বিক্ষুব্ধ নেতাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক এরপর ওবায়দুল কাদেরের কক্ষের দরজা খুলতে বললে দরজাটি খোলা হয়। ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেন তারা। এরপর ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা একই প্রশ্ন করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সহসম্পাদকের এই উপকমিটি দেওয়া হয়নি। তবু বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষ বিষয়টি জেনে গেছে। বর্তমানে এই উপকমিটি স্থগিত করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সঠিক যাচাই বাছাইয়ের পর উপকমিটির সহসম্পাদক পদে কমিটি দেওয়া হবে। এরপর সন্ধ্যা সাতটার দিকে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতারা দলের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিলের সময় উপকমিটির সহসম্পাদক পদ পাওয়া একজনের সঙ্গে পদবঞ্চিত কয়েকজনের বাগ্বিতন্ডা এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে জানা গেছে। পরে অন্য নেতারা তাদের শান্ত করেন।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক বিক্ষুব্ধ এক নেতা বলেন, ‘আমাদের সহসম্পাদক পদের জন্য মূল্যায়ন না করে বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্রদলের লোকজনকে পদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। তবে একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজুর রহমান, শাহ মোস্তফা আলমগীর, হেমায়েত উদ্দিন, শাহীনুর রহমান, হাসানুজ্জামান লিটন, টিটন, রিয়াজ উদ্দিন সুমন, হাসানুজ্জামান তারেক, শামসুল কবির রাহাত, আল মাহমুদ, আফরিন নুসরাত প্রমুখ। তারা ছাত্রলীগের বিগত তিনটি কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিভিন্ন পদে ছিলেন।
পদ্মা সেতুর মূল কাজের অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ -ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর মূল কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৫১.৫০ শতাংশ । এর মধ্যে নদী শাসনে ৩৫.৫০ শতাংশ মূল সেতুর অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ।
পদ্মা নদীর তলদেশে গঠনগত জটিলতার কারণে ১৪টি পিলারের নকশা পাল্টানো হলেও এতে সেতুর নির্মাণ কাজ নিয়ে কোনো ভয়ের কারণ নেই। তিনি জানান, পিলারের নকশা পাল্টানো হলেও মূল সেতুর নকশায় কোনো পরিবর্তন আসছে না।
গতকাল শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়া এলাকায় পদ্মাসেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আগামী ২ ফেব্রæয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সফরের দিন নির্ধারিত রয়েছে, তিনি সে সময় পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে পারেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত; নির্মানাধীন পদ্মা সেতুর মোট ৪২টি পিলারের ওপর তৈরি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটি। আর এর মধ্যে বসবে স্টিলের ৪১টি স্প্যান। গত ৩০ সেপ্টেম্বরে প্রথম স্প্যানটি বসানোর পর প্রতি মাসে একটি করে স্প্যান বসানোর কথা ছিল। সেই হিসাবে এখন তিনটি স্প্যান বসিয়ে চতুর্থটি বসে যাওয়ার কথা।তবে জটিলতা। বেশ কিছু এলাকায় মাটির নীচে গভীর কাদার স্তর পাওয়া যায়। এ জন্য পিলারের জন্য পাইলিং করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর এ কারণে বেশ কিছু পিলারের নকশায় পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর বহুল আলোচিত দ্বিতীয় স্প্যানটি চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বসে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, মাওয়ায় আরও ১০টি স্প্যানের ফ্রেব্রিকেশনের কাজ চলছে, এবং চীনে আরো ১৬টি স্প্যান শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত।
এ সময় পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদেরসহ আরও দেশি বিদেশি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।