Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের শরণার্থীর মর্যাদা দিচ্ছে না রাশিয়া

| প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার অধিবাসী সুলাইমান ২০১৪ এর গৃহযুদ্ধে অনেকের সাথে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসেন লেবাননে এবং সেখান থেকে ভালোভাবে থাকার আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমান। তবে আসার পর আজ পর্যন্ত গুছিয়ে নিতে পারেননি নিজেকে। এমন হাজারো সুলাইমানের মত সিরিয়ানরা আসাদ সরকারের মিত্র রাশিয়ার বিমান হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে রাশিয়া ও লেবাননে। ৩৬ বছর বয়সী সিরিয়ান ইলেক্ট্রিশিয়ান বলেন, আমি আমার ঘর থেকে মাত্র ৩ ঘন্টার দূরত্বে রয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউই এখানে পরিপূর্ণ শান্তি অনুভব করছি না। নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো মনে হচ্ছে। তার পরিবার মনে করে, তাদের যতটা দ্রæত সম্ভব এই এলাকা ছেড়ে নিজ দেশে চলে যাওয়াটা বাঞ্ছনীয়। রাশিয়ায় বসবাস করা তাদের এক বন্ধুর মাধ্যমে তারা এখানে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তার ভাষ্যমতে রাশিয়ানরা তাদেরকে জাতিগতভাবে সাহায্য করছে। ১৮৬০ সালে রাশিয়ার সকল গোষ্ঠীদের নিয়ে করা এক নীতিতে বলা হয়েছিল, রাশিয়া যে কোন ধরনের উদ্বাস্তু জাতিগোষ্ঠীদের মানবিকভাবে সাহায্য করে যাবে। ২০১৬ তে সিরিয়ায় চলা গৃহযুদ্ধ থেকে প্রাণ বাচাতে আদিজিয়ার রাজধানী মেকোপে পৌঁছান এক দম্পতি, পরবর্তীতে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তাদের মতে, এখানে হয়ত যুদ্ধবিগ্রহ নেই, কিন্তু জীবন এখানে থমকে আছে এক সরলরেখায়।
জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী এই দম্পতি মস্কোতে শরণার্থী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে, কিন্তু হাজার হাজার সিরীয় জীবন বাঁচানোর তাগিদে ন্যূনতম আশ্রয়ের আশা করেছিল রাশিয়ার কাছে, তারা কি পেয়েছিল আশ্রয় ?
তবে বিষয়টিকে নিয়ে অন্যভাবে ভাবছেন এনজিও কর্মী সেভেতলানা গান্নুসকিনা। তিনি বলেন, সবার মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা জন্মে গেছে যে, রাশিয়ায় শরণার্থী আশ্রয় পাওয়া কঠিন। এই ধারণা মোটেও সত্যি নয়। মূল ব্যাপার হল, রাশিয়ার পক্ষে আশ্রয় দেওয়াটা অসম্ভব। যদিও ২০১১ সালে শুরু সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে একমাত্র সিরিয়ানরাই জাতিগতভাবে শরণার্থী হিসেবে রাশিয়ার কাছে আশ্রিত হয়েছে।
এনজিও সংস্থা সিএসির ২০১২ সালের অক্টোবরের হিসেব মতে, রাশিয়াতে যে ৫৮৯ জন শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত ছিল তাতে ছিলেন দু’জন সিরীয়ও। যদিও পরবর্তীতে রাশিয়া সিরীয়দের অস্থায়ীভাবে শরণার্থী হিসেবে থাকার অনুমতি দিয়েছিল।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ