পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সংঘর্ষের সময় যারা অস্ত্র বহন করছিলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সিটি করপোররেশনের হকার উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় সংঘর্ষ বাঁধে আওয়ামী লীগের দুই নেতা শামীম ও আইভীর সমর্থকদের। তখন অস্ত্র প্রদর্শনও করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ৫০ শয্যা থেকে একশ শয্যায় উন্নীতকরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এ বিষয়ে যা যা করার দরকার, আমরা সেটা করছি। অস্ত্রধারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সংঘর্ষ কী কারণে হল, কারা করলো- তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এটুকু অ্যাসিওরেন্স দিচ্ছি, আমরা কাউকে ছাড়ব না। যেই আইন ভঙ্গ করবে তার ব্যবস্থা অবশ্যই হবে। জনপ্রতিনিধির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছি। তাদের বলেছি এ ধরনের কর্মকান্ড যদি বন্ধ না করেন তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এগুলো পছন্দ করছেন না। ব্যবস্থা নিতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেমন কাজ করে যাচ্ছে, তেমনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। যে কোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মাদকাসক্ত হয়ে বাবা-মায়ের খুনি আর কোনো ঐশী তৈরি হোক আমরা চাই না। মন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা জিরো টলারেন্সের কথা বলেছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলবে। এক্ষেত্রে আমরা কতোখানি সফল হয়েছি তারচেয়ে বড় কথা আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হবো। বর্তমানে ইয়াবার প্রাদুর্ভাব বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছি। সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা কারখানা বন্ধ করতে তারাও সাড়া দিয়েছে। দেশে ইয়াবার চালান রোধে আমরা সজাগ। প্রতিনিয়ত মাদকের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ফেনসিডিল, হেরোইন থেকে এখন ইয়াবার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ বিষয়ে জানতে আমাদের ট্রেনিং দরকার। তাৎক্ষণিকভাবে মাদক বুঝতে পারলে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। শহরের অভিজাত এলাকায় অনেকভাবেই মাদক সেবন হচ্ছে। এগুলো খোলামেলাভাবে আর বলতে চাচ্ছি না। আমরা জানার চেষ্টা করছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। মন্ত্রী বলেন, স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ছিল আগে ঠুঁটো জগন্নাথ। তিন জেলার দায়িত্বে ছিলেন মাত্র একজন কর্মকর্তা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতি জেলাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অফিস করা হচ্ছে। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে মাদক নিয়ন্ত্রণ করে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষার বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।