নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। শুধুমাত্র একটি নামের কারণে অন্য দশটি ম্যাচের সঙ্গে আজকের ম্যাচকে মেলানো যাচ্ছে নাÑ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
সংবাদ সম্মেলনে যতবারই নামটি মাশরাফি এড়িয়ে যেতে চাইলেন ততবারই যেন ঘুরোফিরে আরো জোরেসোরোই নামটি উচ্চারিত হলো। কারণটা নিশ্চয় কারো অজানা নয়। গেল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে বাংলাদেশের অধ্যায় শেষ হওয়ার পর আজই প্রথমবারের মত মাশরাফিদের প্রতিপক্ষের ভুমিকায় দেখা যাবে হাথুরুকে। একটু কি চিন্তিত মাশরাফি বাহিনী?
মাশরাফির কথায় কিন্তু তেমন কিছুর আঁচ পাওয়া গেল না। সব ভয়-শঙ্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে যোগ্য দলপতির মতই মাশরাফির জবাব, ‘পেশাদার ক্রিকেটে এই ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম না। স¤প্রতি যে কোচ ছিল তার মুখোমুখি হওয়া এই প্রথম না। আর সত্যি বলতে, আমরা এটা অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছি। যখন তিনি চলে গেছেন, তার পরিকল্পনা আমরা পুরোটাই ভুলে গেছি। এখন যারা কোচ, তাদের সাথে আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে তার ব্যাপারটা নিয়ে আর ভাবার সুযোগই নাই।’
এরপরও একটা অদৃশ্য চাপ কি কাজ করে না। কিন্তু মাশরাফিরা এসব কিছু ভাবতে চান না। তাদের ভাবনায় কেবলই জয়, ‘ভাবনায় থাকে, ম্যাচটা খেলতে হবে, জিততে হবে। এর বাইরে কোনো সুযোগই নাই চিন্তা করার। চিন্তা করলে আরও বেশি চাপ আসে।’
বাংলাদেশের সাথে প্রথম দেখায় হাথুরুসিংহেকে চমকে দেওয়ারও কিছু নেই বলে জানান মাশরাফি, ‘আলাদা করে চমক দেওয়ার কিছু নেই। আমরা যেভাবে খেলতাম, সেভাবেই খেলব। হাথুরুসিংহে থাকতেও এখানে এসে বলতাম আমরা আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতা নিয়ে ক্রিকেট খেলতে চাই। আপনি যদি দেখেন প্রায় তিন-আড়াই বছর পর বিজয় দলে এসে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে, আমরা ঠিক এটাই চাই। ভয়হীন ক্রিকেট খেলুক।’
হার দিয়ে শ্রীলঙ্কা দলের কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন হাথুরু। আসরে টিকে থাকার প্রশ্নেও আজকের ম্যাচটি তাই লঙ্কানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা করে লঙ্কান ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা বলেন, ‘ভালো ব্যাপার হলো, টুর্নামেন্টে এখনও আমাদের বেশ কয়েকটি ম্যাচ আছে। প্রথম ম্যাচে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। তবে যদি আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো কিছু করতে পারবো। তিন দলের এমন টুর্নামেন্টে এটা হতেই পারে। আমরা এক বা দু’টি ম্যাচ হারতেই পারি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলো এখান থেকে ইতিবাচক কিছু নিয়ে তা সামনের ম্যাচগুলোতে কাজে লাগানো। ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে কাল ভালো ফলই প্রত্যাশা করছি।’
শ্রীলঙ্কাকে হারানোর কৌশল বাংলাদেশের অজানা নয়। সর্বশেষ দুটি সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে। আরো বড় বিষয় হলো লঙ্কানদের হারানোর পথ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার মিরপুরের শততম ম্যাচ সেই থেকে অন্তঃত একটা বার্তা পেয়েছে বাংলাদেশÑ বাড়তি দায়ীত্ব নিতে হবে পেসারদের। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সেটা আরো একবার মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফি। আর এজন্য যে বাংলাদেশ প্রস্তুত সেটা আগের দিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। কালও একই কথা বললেন টাইগার দলপতি, ‘পেসারদের ওপর নির্ভরতা তো অবশ্যই থাকবে। আমি আগেও বলেছিলাম, আমরা যেসব ম্যাচ জিতেছি পেসাররা অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে।’
পিরপুরের পিচ হয়ে গেছে শুষ্ক। আদ্রতা নেই বললেই চলে। এমন পিচে নূন্যতম ৩০০ রান করতে চান মাশরাফি। তবে প্রথমে বল করলে প্রতিপক্ষকে ২৭০ থেকে ২৮০ রানের মধ্যে আটকে রাখার পরিকল্পনা তার, ‘প্রথম ম্যাচ যদি দেখেন, আমরা কিন্তু প্রায় তিনশ’ রান চেজ করার মতো অবস্থানে ছিলাম। অবশ্যই এই ধরনের জয় বাড়তি একটা অনুপ্রেরণা দেয়। আশা করব, যারা ঐ ম্যাচে অপরাজিত ছিল তাদের আত্মবিশ্বাস ভালো পর্যায়ে থাকবে। আর যারা আউট হয়েছে, বিজয় ও সাকিব, ওরাও ভালো করতে পারবে। বোলিংয়ের দিক থেকে সবাই ভালো বোলিং করেছে। শ্রীলঙ্কাকে ২৭০/২৮০ রানের ভেতরে রাখার সামর্থ্য আমাদের অবশ্যই আছে। ওরা ভালো ব্যাটিং করলেও নিজেদের পরিকল্পনা ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারলে যে রানের ভেতরে ওদের আটকাতে চাই তা করার সামর্থ্যও আমাদের আছে।’
গতকাল অনুশীলনে চোট পেয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ফলে আজ তার খেলা নিয়ে দেখা দিযেছে শংশয়। তার অনুপস্থিতে দলকে নেত্তৃত্ব দিতে পারেন দিনেশ চান্দিমাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।