নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপের ‘ডি’ গ্রæপে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে কেউ জিতেনি। অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয়েছে খেলা। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আরামবাগ গোলশূণ্য ড্র করে সাইফের বিপক্ষে। আরামবাগের এটা প্রথম ম্যাচ হলেও সাইফের দ্বিতীয়। আগের ম্যাচে তারা টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিলো। তাই কাল আরামবাগকে হারাতে পারলেই সাইফের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হতো। এখন আরামবাগ-চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্যকার গ্রæপের শেষ ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ ম্যাচে যারা হারবে তারাই ছিটকে পড়বে টুর্নামেন্ট থেকে। এই ড্র’তে দুই পয়েন্ট নিয়ে গ্রæপের শীর্ষে আছে সাইফ স্পোর্টিং। আর এক পয়েন্ট করে পেয়েছে আরামবাগ ও চট্টগ্রাম আবাহনী।
ম্যারম্যারে ম্যাচ ও দর্শকশূণ্য স্টেডিয়ামের গ্যালারি- যেন এবারের স্বাধীনতা কাপের প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে দাড়িয়েছে। তবে অন্যান্যবারের মতোই আরামবাগের ম্যাচ দেখতে কাল স্থানীয় কিছু সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন গ্যালারিতে। তবে তা হাতে গোনা জনা পঞ্চাশেক। টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে নেই কোন প্রচার-প্রচারণা। দর্শকদের মাঠে টানতে কোন আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র’র ব্যবস্থাও নেই এবার। তাই দর্শকের সমাগমও কম। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন দায়সারা আয়োজনে টুর্নামেন্ট শেষ করাটাই প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের।
আরামবাগ-সাইফ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় মতিঝিলের দলটি। ফলে ম্যাচের ২০ মিনিটে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে তারা। এসময় আরামবাগের স্ট্রাইকার জুয়েলের বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক ফরোয়ার্ড আবু সুফিয়ান সুফিল। কিন্তু সাইফের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর দক্ষতায় গোল বঞ্চিত হয় আরামবাগ। ৪২ মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করে তারা। পুরো ম্যাচে আরামবাগ বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করলেও যেন সাইফের লক্ষ্য ছিল গোলহীন ম্যাচ শেষ করা। তাই তাদের তেমন আক্রমণাতœ ফুটবল খেলতে দেখা যায়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত গোলশূণ্যই থেকেছে ম্যাচ।
একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রæপের ম্যাচে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ১-১ গোলে ড্র করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে ফরাশগঞ্জের আলমগীর গোল করে দলকে এগিয়ে নিলে (১-০) ৪৭ মিনিটে আমিরুলের গোলে সমতায় ফিরে মুক্তিযোদ্ধা (১-১)। শেষ পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দু’দল। এই ড্র’তে ফরাশগঞ্জ দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রæপের শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো। এক ম্যাচ খেলা মুক্তিযোদ্ধার অর্জন ১ পয়েন্ট। তাদের সমান পয়েন্ট ব্রাদার্স ইউনিয়নেরও। আগামীকাল তারা মুখোমুখী হবে মুক্তিযোদ্ধার। শেষ আটে যেতে হলে ব্রাদার্সকে জয় পেতেই হবে। অন্য দিকে ড্র করলেই মুক্তিযোদ্ধা জায়গা পাবে কোয়ার্টারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।