Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিজেএমসির মিলগুলোয় সাড়ে চারশ’ কোটি টাকার পাটপণ্য অবিক্রিত আছে

সংসদে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) মিলগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকার অবিক্রিত পাটপণ্যের মজুদ রয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত ৩০ নভেম্বর অবধি অবিক্রিত মজুদ পাটপণ্যের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৪২৭ দশমিক ৫২ মেট্রিক টন। যার মূল্য প্রায় ৪৩৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। অবিক্রিত এই পাট পণ্য বিক্রয়ের লক্ষে সরকার মূলত ৪টি পদক্ষেপ নিয়েছে। যার আওতায় অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটজাত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে অবিক্রিত মজুদ থেকে ৩৩ লাখ পিসসহ মোট ১৯ কোটি ৬০ লাখ পিস পাটজাত পণ্য বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের (বিসিএসএ) কাছে বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে। সুদানের টেন্ডারের বিপরীতে সম্প্রতি এক লাখ বেল বিটুইল পণ্য রফতানি করা হয়েছে। অবশিষ্ট বিটুইল বস্তাও এলসি (ঋণপত্র) পাওয়ার ভিত্তিতে শিগগিরই রফতানি হবে। অন্যান্য মজুদ পণ্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
একই দলের এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিদেশে পাট রফতানির জন্য কোনো দেশের সাথে আমাদের রফতানি চুক্তি নেই। তবু যে সকল দেশে পাট ও পাটপণ্য রফতানি হচ্ছে সেগুলো হচ্ছেÑ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, আইভরিকোস্ট, এলস্যালভেদর, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল, রাশিয়া, জিবুতি, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্র, ইথিওপিয়া ও তিউনিশিয়া।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক জানান, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের বস্ত্র ও বস্ত্রজাত দ্রব্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করে বিগত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৯২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। যার পরিমাণ ২৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আরো জানান, ওই অর্থবছরে বিজেএমসির পাটজাত দ্রব্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন। যার আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ২৬৩ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৮৮ হাজার ৫১২ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য বিদেশে রফতানি করে ৭৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। যা ছিলো লক্ষ্যমাত্রার ৫৮ শতাংশ। রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
এমপি গোলাম মোস্তফা বিশ^াসের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছরে ভোলাহাটে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) দুটি আইডিয়াল রেশম পল্লী স্থাপন করেছে। আগামী জুলাইয়ে শুরু হতে যাওয়া ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার এ প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ