নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : মাত্র এক যুগের ছোট্ট ইতিহাসে অনেক ব্যাটসম্যানকেই নিজ বুকে সেঞ্চুরি করতে দেখেছে মিরপরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এবার মিরপুরের ‘হোম অব ক্রিকেট’ নিজেই পূর্ণ করল সেঞ্চুরি। তাও আবার যেনতেন সেঞ্চুরি নয়, দ্রæততম সেঞ্চুরি। ম্যাচ আয়োজনের দিক দিয়ে গতকাল একশ ওয়ানডের মাইলফলক স্পর্শ করেছে মিরপুর।
বিশে^র ষষ্ঠ ভেন্যু হিসেবে শততম ওয়ানডে আয়োজনের কৃতিত্ব গড়ল শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। সর্বোচ্চ ২৩১টি ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো উৎসবের ম্যাচে খেলল সফরকারী শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে মাশরাফি-সাবিক-তামিমদের স্থান হলো দর্শক গ্যালারিতে! এমন মাইলস্টোনের ম্যাচে বাংলাদেশ থাকলে ভালো হতে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। ত্রিদেশীয় সূচিতে কাল বাংলাদেশের খেলা না থাকার কারনও জানিয়েছেন পাপন, ‘সিরিজ ছিলো অনিশ্চিয়তায়। তাড়াহুড়ার কারণে এটা হয়নি। তবে মিরপুরের শততম ম্যাচে বাংলাদেশ থাকতে পারলে খুবই ভালো হতো।’
তাড়াহুড়ার কারনে সূচিতে বাংলাদেশের খেলা রাখা হয়নি বলে মনে করেন পাপন, ‘হয়তো করা যেতো। এখানে আপনি দেখেন আসার ব্যাপারে টিমগুলা অনিশ্চিত ছিলো। এমনিতে জিম্বাবুয়েও তো লেট করেছে। আসলে এই একটু তাড়াহুড়োর মধ্যে ছিল। কিছুটা আনসার্টেনিটি ছিল দেখে আামরা আগে থেকে পুরাপুরি নিশ্চিত করতে পারিনি। না হলে এটা করা যেতো, এটা যে করা যেতো না তা না। করতে পারলে ভালো হতো।’ তবে বাংলাদেশ না খেললেও ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুশি পাপন। এর কারণটাও জানিয়েছেন তিনি, ‘আসলে এই ভেন্যুটায় একশতম ওডিআই আজকে (গতকাল) হচ্ছে। সেটা তো সত্যিই একটা মাইলস্টোন। তবে আমি মনে করি যে, আমার ব্যক্তিগতভাবে এই ভেন্যুটা অবশ্যই অনেক ভালো। এর পেছনে কয়েকটা কারণ আছে। প্রথমত হচ্ছে যে আমাদের তো খুব একটা অপশন নেই। বিশেষ করে আমাদের নতুন যে স্টেডিয়ামটা করেছি, সিলেটে আমরা একটা ভালো স্টেডিয়াম করেছি, চিটাগাংয়ে আমাদের একটা নতুন স্টেডিয়াম হয়েছে। এগুলা তো নতুন। কিন্তু প্রথম থেকে যদি দেখে থাকেন, আমাদের ক্রিকেট স্টেডিয়াম হোম অব ক্রিকেট বলতে যা বুঝিয়ে থাকে সেটা এটাই। এই যে মিরপুরের এই স্টেডিয়াম শেরে বাংলা। তো সেদিক থেকে এটার প্রতি সব সময়ই আমাদের আকেটা আকর্ষণ ছিল। খেলাও সবচেয়ে বেশি এটাতেই হয়েছে। পৃথিবীতে এটা ষষ্ঠ স্টেডিয়াম একশতম যেটা ছুঁয়েছে ওডিআই। কিন্ত এতো কম সময়ে। আমার মনে হয় সময়ের দিক দিয়ে এটা আরও কম। কারণ অব্যাহতভাবে খেলা হচ্ছে এ মাঠে। সেজন্যই আমি মনে করি যে এটা তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু এখানেই না, যেভাবে চলছে এখানে একশ না, দু’শ হতেও খুব বেশি সময় লাগবে না।’
হোম অব ক্রিকেটের স্মৃতি আর্কাইভ এন্ড মিউজিয়াম নিয়েও কথা বলেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘এটা তো ডিফেনেটলি আমাদের একটা চিন্তা আছে। অলরেডি চিন্তা না, এটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।’
এমন একটা মাইলস্টোন, কিন্তু বাংলাদেশ দল নেই এমন প্রশ্নে পাপন বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সিরিজ জেতা। আমরা বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কখনো কোনো ট্রাইনেশন বা একাধিক টিম যেখানে আছে, এরকম কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। এবার আমাদের সামনে একটা সুযোগ আছে।’
মিরপুরকথন...
সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ : ৪ উইকেটে ৩৭০ রান সংগ্রহ ভারতের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২০১১ বিশ^কাপ মিশন শুরু করে ভারত। বীরেন্দ্র শেবাগ করেছিলেন ১৪০ বলে ১৭৫ এবং বিরাট কোহলি ৮৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ১০০ রানে। টাইগাররা ম্যাচটি হারে ৮৭ রানে।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর : এ মাঠে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন। ২০১৫ সালে দলের বাংলাদেশ সফরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৬ বলে ১৫টি করে ৪ ছক্কায় ১৮৫ রানের সেই ইনিংসটি আজও এ মাঠের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।
ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রান : মিরপুরে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তামিম ইকবাল। ৭১ ইনংসে ৩৪.৬২ গড়ে তার মোট রান ২৩৮৯।
সেরা বোলিং স্পেল : ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ২৮ রানে ৫ উইকেট তাসকিন আহমেদ, মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। কিন্তু তারপর ভেল্কি দেখান ভারতের স্টুয়ার্ট বিনি। তিনি মাত্র ৪ রানে ৬ উইকেট শিকার করে দলের জয় এনে দেন। বিনির সেই বোলিং ফিগারটিই এ মাঠের সেরা সেরা বোলিং স্পেল।
ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ উইকেট : ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এ মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাকিব আল হাসান। এ পর্যন্ত মোট ৭৪ ইনংসে তার ২৪.৯৩ গড়ে তার মোট উইকেট ১০৪টি।
উইকেটরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল : শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উইকেটরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ ৮১টি ডিসমজিাল করেছেন বাংলাদেশের মুশফিকর রহিম।
মাঠের সর্বোচ্চ ক্যাচ : বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এ মাঠে সর্বোচ ক্যাচ নেয়ার মালিক তিনি। এ পর্যন্ত তিনি ক্যাচ নিয়েছেন ২২টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।