নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : দেশের বাইরে নিজেদের প্রমাণের মিশনে আবারো ব্যর্থ হলো দেশের মাটিতে একের পর এক সিরিজ জয়ে প্রতাপশালী হয়ে ওঠা ভারত। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টে আরো বাজেভাবে হেরে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তিন ম্যাচ সিরিজটাও খুঁইয়েছে বিরাট কোহলির দল। এখন কেবল হোয়াইটওয়াশটা বাকি।
সেঞ্চুরিয়ানে ভারতের মত উইকেটে খেলা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেছিলেন প্রোটিয়া পেসার মরনে মর্কেল। প্রথম ইনিংসে কোহলির ব্যাটিং দেখেও মনে হচ্ছিল তিনি নিজ দেশই ব্যাটিং করছেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হলেন কোহলি। তার দলও মাত্র ১৫১ রানে হুড়মুড়িয়ে গুটিয়ে ম্যাচ হারে বসল ১৩৫ রানে। হারের পুরো দায় ব্যাটসম্যানদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন ভারত দলপতি কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের কৃতিত্ব দিয়ে কোহলি বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তবে আমরা যথেষ্ঠ ভালো ছিলাম না। তারা আমাদের চেয়ে সব দিক দিয়েই ভালো ছিল। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ে।’
ব্যাটিংকে বাদ দিয়ে কোহলি কেন প্রতিপক্ষের ফিল্ডিংয়ের প্রসংশা করলেন তা যারা কাল চর্মচোখে ম্যাচের সাক্ষ্যি হয়েছেন তারায় কেবল বুঝবেন ব্যাপারটা। পুজরার রান-আউট, মর্কেল-ফিল্যান্ডার-ডি ভিলিয়ার্সদের অসাধারণ ক্যাচÑ সবই ছিল জয়ের জন্য সর্বাত্বক প্রয়াসের নমুণা। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করেছিল ভারত। যে কারণে এত পুজি নিয়েও তারা টেকেনি এক সেশনও। সঙ্গে আগুনঝরা বোলিং ছিল এক লুঙ্গি এনগিদির। অভিষেক ম্যাচেই ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তরুণ এই পেসার। আরেক প্রতিশ্রæতিশীল তরুণ পেসার কাগিসো রাবাদা নেন ৩ উইকেট।
আগের দিন ৩৫ রানেই দুই ওপেনার ও বিরাট কোহলির উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে গিয়েছিল ভারত। এদিন তাই দেখার বিষয় ছিল তাদের ইনিংটা কতক্ষণ স্থায়ী হয়। জয়ের চিন্তুা হয়ত ভারতও করেনি। সেঞ্চুরিয়ানের সুপার স্পোর্টস পার্কে জিততে হলে যে রেকর্ড গড়তে হত ভারতকে। এখানে সর্বোচ্চ ২৪৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে; ২০০০ সালে যে রেকর্ডটি গড়েছিল ইংল্যান্ড। কোহলির দলের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৮৭।
শেষ দিনে ভারতীয় ইনিংসের পতন শুরু হয় চেতস্বর পূজারার রান আউটের মধ্য দিয়ে। টেস্ট ইতিহাসের মাত্র ২৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই ইনিংসেই রান আউটের শিকার হন পুজারা, তবে ভারতীয় হিসেবে প্রথম। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেলকে মর্কেলের দারুণ ক্যাচে পরিণত করে ফেরার রাবাদা। এরপর এনগিদিন জোড়া ছোবল। নিজের পর পর দুই ওভারে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া ও রবিচন্দ্রন আশ্বিনকে। অষ্টম উইকেটে কিছুটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৫৪ রানের জুটিতে দলীয় স্কোর দেড়শর কাছে নেন রোহিত শর্মা ও মোহাম্মাদ সামি। ৪৭ রান করা রোহিত ফেরেন রাবাদার বাউন্সারে ডি ভিলিয়ার্সের দুর্দান্ত ক্যাচে। শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে অভিষেকটা রাঙিয়ে রাখেন এনগিদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩৩৫ (মার্করাম ৯৪, আমলা ৮০, ডু প্লেসিস ৬৩; আশ্বিন ৪/ ১১৩, ইশান্ত ৩/৪৬) ও ২৫৮ (এলগার ৬১, ডি ভিলিয়ার্স ৮০, ডু প্লেসিস ৪৮; সামি ৪/৪৯, বুমরাহ ৩/৭০, ইশান্ত ২/৪০)।
ভারত : ৩০৭ (কোহলি ১৫৩, বিজয় ৪৬; মর্কেল ৪/৬০, এনগিদি ১/১৪, ফিল্যান্ডার ১/১৬) ও (লক্ষ্য ২৮৭) ৫০.২ ওভারে ১৫১ (আগের দিন ৩৫/৩) (পুজারা ১৯, পার্থিব ১৯, রোহিত ৪৭, পান্ডিয়া ৬, অশ্বিন ৩, সামি ২৮, ইশান্ত ৪, বুমরাহ ২*; ফিল্যান্ডার ০/২৫, রাবাদা ৩/৪৭, এনগিদি ৬/৩৯, মর্কেল ০/১০, মহারাজ ০/২৬)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৫ রানে জয়ী।
সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-০তে এগিয়ে।
ম্যাচ সেরা : লুঙ্গি এনগিদি (দ. আফ্রিকা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।