Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আপাতত বাধা নেই

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আর ওই আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে আপিল বিভাগ জানিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। ফলে আপাতত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কোনো আইনি বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ।
সরকারের দুটি দপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও আবদুল মতিন খসরু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। আর রিটকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
পরে মুরাদ রেজা পরে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের তিনটি লিভ টু আপিল ছিল। সেগুলো মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে বলেছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে ওষুধ প্রশাসন আলাদা আপিল করেছিল। আগামী ১৩ ফেব্রæয়ারি একসঙ্গে সবগুলো বিষয়ের আপিল শুনানি শুরু হবে। তিনটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ ও ২০১২ সালে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে গত ১১ মে ওই রায় দেয় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। ২০০৯ সালের ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ১১টি ধারা-উপধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায়ে বলা হয়, এ আইন বিচার বিভাগের স্বাধীনতারও পরিপন্থি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ হলে সমাজে বিপর্যয় নেমে আসবে- অ্যাটর্নি জেনারেল:
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। বড় যুক্তি হচ্ছে, মোবাইল কোর্ট জনহীতকর কাজে ব্যবহার হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট না থাকলে মাদক বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না, অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ বন্ধ করা সম্ভব না, কিশোরী বা যুবতি মেয়েদের রাস্তায় হাঁটাচলা এবং ইভটিজিং থেকে রক্ষা করা সম্ভব না।
এছাড়াও বাল্যবিবাহ থেকে মেয়েদের রক্ষা করা সম্ভব না। এ আইন আছে বলে ভেজালবিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করা গেছে। অবৈধ নির্মাণ, জুয়া, ইভটিজিং বন্ধ করা গেছে। কাজেই মোবাইল কোর্ট জেল দিতে পারবে না- এমন অজুহাতে মোবইল কোর্ট বন্ধ করে দেয়া হলে সমাজে আরও বিপর্যয় নেমে আসবে। বিশৃঙখলার সৃষ্টি হবে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম চলবে বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভ্রাম্যমাণ

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ