পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাহফুজুল হক আনার/এম এ জলিল : দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩য় ইউনিট এখন উদ্ভোধনের অপেক্ষায়। নির্ধারিত সময়ের ৭ মাস আগেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এখন পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিদিনের উৎপাদিত ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশের প্রথম ভূ-গর্ভস্থ কয়লা খনি থেকে প্রাপ্ত কয়লা’র উপর ভিত্তি করেই কয়লা খনির পাশেই প্রতিষ্ঠা করা হয় বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২টি ইউনিট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৬ সালেই এই দুটি কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হতে হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে নুতনভাবে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৩য় ইউনিট নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে প্রস্তুত কেন্দ্রটি থেকে লক্ষমাত্রা’র অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচেছ। ৩য় এই কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রীডে সোয়া ৫’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ৩৯০ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদ রয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ ট্যানেল পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলণ করায় ভূ-গর্ভে মজুদ কয়লা’র পুরোটাই উত্তোলন করা সম্ভব হবে না। এরপরও ফুলবাড়ী ও দাউদপুরে দুটি খনি’র কয়লা উত্তোলনের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা হলে আগামীতে বিদ্যুৎ আমদানী নয় রফতানি করা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক চৌধুরী মোঃ নুরুজ্জামান জানান, সরকারের সদিচ্ছার কারণে আমরা ৩য় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে আপ্রান চেষ্টা চালিয়েছি। কেন্দ্র নির্মালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হারবিন ইলেকট্রনিক্স ইন্টারন্যাশনাল ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। আগামী ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রটি নির্মাণের শেষ সময় দেয়া হয়েছিল। তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিন-রাত কাজ করে ৭ মাস আগেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। কর্তৃপক্ষ গত ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর রাতেই উৎপাদনে যায়। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধনের আগেই পুরোদমে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট। এ নতুন ইউনিটটি হচ্ছে ২৭৫ মেগাওয়াটের কিন্তু প্রতিদিন উৎপাদন ছড়িয়ে যাচ্ছে ২৮০ থেকে ৩শ তে।
পরীক্ষামুলকভাবে উৎপাদনের নির্ধারিত সময়ের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিদ্যুৎ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে। নতুন ইউনিটটি খুব সুন্দরভাবে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং উৎপাদনে গিয়ে পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। প্রতিদিন নির্ধারিত মেগাওয়াটের চেয়ে অনেক বেশি উৎপাদন হচ্ছে যা জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। চলতি সামনে ইরি-বোরো মৌসুমে চাহিদা মেটাবে এবং দেশের বিভিন্ন শিল্প অঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি থেকে রক্ষা পাবে। বড় পুকুরিয়া ৩য় ইউনিট নির্মাণকরতে ব্যয় হয়েছে ২৬শ ৮৭ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী যখনই সময় দিবে তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভোধনের সকল কার্যক্রম শুরু করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।