নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলে চট্টগ্রাম আবাহনীর শনির দশা যেন কিছুতেই কাটছে না। ব্যর্থতার মধ্যদিয়ে সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করলেও স্বাধীনতা কাপের শুরুতেই পয়েন্ট খোয়ালো তারা। এবার নবাগত সাইফের সামনে হোঁচট খেল চট্টগ্রাম আবাহনী। অথচ তারাই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ঘরোয়া ফুটবলে চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রথম বড় সাফল্য গত মৌসুমের স্বাধীনতা কাপ শিরোপা ঘরে তোলা। কিন্তু নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনটা ভালো হলো না চ্যাম্পিয়নদের। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এবারের স্বাধীনতা কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ১-১ গোলে ড্র করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। চট্টগ্রামের হয়ে মাসুক মিয়া জনি গোল করলে সাইফের জুয়েল রানা তা শোধ দেন।
বলা যায় ম্যাচটি নাটকীয়ভাবেই ড্র হয়েছে। দু’দলই গোল করে ম্যাচের যোগকরা সময়ে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো গোল না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল যখন দু’দল তখনই এগিয়ে যায় টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আর শেষ বাঁশি বাজার ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে গোল শোধ দেয় সাইফ। ফলে নিশ্চিত জয় বঞ্চিত হয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
তবে যাই হোক, ড্র দিয়েই শুরু হলো নতুন বছরে গেল মৌসুমের স্বাধীনতা কাপ। টুর্নামেন্ট কোন বিদেশী ফুটবলার নেই। তাই লড়াইটা স্বদেশী ফুটবলারদেরই। স্থানীয় প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই সুযোগ থাকছে নিজেদের পারফরম্যান্স দেখানো। কিন্তু স্বাধীনতা কাপের শুরুর দিনের প্রথম ম্যাচে তেমন আলো ছড়াতে পারেননি ফুটবলাররা।
প্রিমিয়ার লিগের দশম আসরে দারুন হতাশ হয়েছেন চট্টলার ফুটবলাররা। ১৭ রাউন্ড পর্যন্ত শিরোপা লড়াইয়ের শীর্ষেই ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু শেষ ক’টি রাউন্ডে তাদের হতাশাজনক পালফরম্যান্স কেবল শিরোপাই নয় রানার্সআপ লড়াই থেকেও ছিটকে দেয়। ফলে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় হয়েই লিগ শেষ করতে হয় তাদের। হয়তো হতাশার রেশ এখনো কাটেনি তাদের। কাল ম্যাচে সেটাই স্পষ্ট ছিলো। কারণ ম্যাচের শুরু থেকেই বন্দরনগরীর দলটিকে চাপে রেখে খেলতে থাকে সাইফ স্পোর্টিং। তিন মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত তারা। এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সের ভেতর থেকে মোহাম্মদ ইব্রাহিে বেশ বাইরে থেকে কৌশিক বড়ুয়ার নেয়া দূরপাল্লার ভলি ফিস্ট করে ফেরান সেই রানা। পরপর দু’টি সুযোগ নষ্ট করে চট্টগ্রাম আবাহনীর হতাশা বাড়ান সুশান্ত ত্রিপুরা। ১৩ মিনিটে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ফ্রি কিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে নষ্ট করেন সুশান্ত। এরপর আবদুল্লাহর ক্রসেই দূরের পোস্টে থাকা ঠিকঠাক টোকা দিতে ব্যর্থ হন সেই সুশান্ত। দ্বিতীয়ার্ধেতো খেলার গতি আরও কমে যায়। তবে খেলার আকর্ষন যেন সব জিইয়ে ছিল নির্ধারিত সময়ের পর যোগকরা অতিরিক্ত সময়ের জন্য। ওই সময়ে ডান দিক দিয়ে আবদুল্লাহর কর্নার এক ডিফেন্ডার হেড করে ফেরানোর পর মাসুক মিয়া জনির দূরপাল্লার ভলি ঠিকানা খুঁজে পায় (১-০)। জয়ের উল্লাসই করছিল চট্টগ্রাম। হয়তো এতেই শেষ হতে পারতো খেলা। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর সেই উল্লাসে বাধ সাধেন জুয়েল রানা। মিনিট দুয়েক পরেই পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে সাইফ স্পোর্টিং। জুয়েল রানার শট গোলরক্ষক রানা ঝাঁপিয়ে পড়লেও বল তার গøাভস ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায় (১-১)। ফলে শেষ পর্যন্ত দু’দলের উদ্বোধনী ম্যাচ নাটকীয়ভাবে ১-১ গোলে ড্র হয়। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ২-১ গোলে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে।
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাধীনতা কাপের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, সদস্য শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর ও জাকির হোসেন চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।