পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে আর আইনজীবী মওদুদ আহমদ বিচারককে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জিতে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আখতারুজ্জামানের আদালতে এই যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন মওদুদ।
বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া পৌঁছেন আদালতে। এরপর শুরু হয় মওদুদের যুক্তি।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আদা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়। খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ মোট ছয় জনকে আসামি করা হয় এতে।
গত ১৯ ডিসেম্বর এই মামলায় যুক্তি উপস্থাপন করে দুদকের আইনজীবী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন।
এরপর আদালত খালেদা জিয়াকে তিন কার্যদিবসে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার নির্দেশ দেয়। তবে বিএনপি নেত্রীর আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শেষ করতে না পারায় সময় বাড়ানো হয়। আজ ১১তম দিনে যুক্তি উপস্থাপন করছেন মওদুদ আহমদ। এর আগে যুক্তি উপস্থাপন করেন রেজ্জাক খান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জমিরউদ্দিন সরকার।
এই মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনে আরও দুটি দিন পাবেন তার আইনজীবীরা। তবে খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন আজই শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
মওদুদ আহমদ আদালতে বলেন, ‘এই মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো ক্ষতি হবে না, বরং উনার জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। উনি পরবর্তী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।’
মওদুদ পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার উদাহরণও দেন আদালতে। বলেন, ‘বিরোধীদলের রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য মামলা করা হয়।’
পরে মওদুদ উদাহরণ দেন সাউথ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার। বলেন, ‘বিশ্বের বহু নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
মওদুদ উদাহরণ হিসেবে বিশ্ব বরেণ্য এই নেতাদের পাশাপাশি তার কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, ‘মামলা আমার বিরুদ্ধেও হয়েছে।’
‘বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই নেত্রীকে মাইনাস করার জন্য এসব মামলা দেওয়া হয়েছিল।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নিজের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমায় জেলখানায় নেওয়া হয়েছিল, সেখানে তো আর ঘুম ধরে না, একদিন রাতে আমার চোখ বেঁধে ফেলা হলো, বলা হলো বড় সাহেবের কাছে আপনাকে যেতে হবে, এরপর সেখানে নিয়ে যাওয়া হলো। তারা আমাকে জানাল , দুই নেত্রীকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
‘আমি জানতে চাইলাম তারা যেতে না চাইলে কী করবেন। তখন তারা বলল, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। বিদেশ যেতে একজন রাজি হলেন, অন্যজন হলেন না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।