রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কালাই (জয়পুরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা
সর্বজন সমাদ্রিত পুষ্টিগুণে ভরপুর আঁশজাতীয় সবজি সজনে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জয়পুরহাটের কালাইয়ে অকৃষি পতিত জমিসহ রাস্তার দু’পাশে সাড়ি সাড়ি গাছে শোভা পাচ্ছে সজনার সমাহার। চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ সবজি বিক্রির উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় খুশি সজনে চাষীরা। কালাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার আহম্মেদাবাদ, মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট ও জিন্দারপুর ইউনিয়নের অন্তত ২৬ হেক্টর অকৃষি ও পতিত জমিতে সজনে চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের আশা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সজনের বাম্পার ফলন হবে। কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ম্যাডিক্যাল অফিসার ডা. রেজোয়ানা সুলতানা জানান, সজনে উচ্চ রক্ত চাপের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এটি দেহের কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্ত চাপের চিকিৎসায় সজনের পাতাও বেশ গুত্বপূর্ণ। সজনের পাতার রস প্রতিদিন নিয়মিত ৪-৬ চা চামচ সেবন করলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। টিউমার বা আঘাত জনিত রোগের উপশম হয়। টিউমার যখন একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তখন সজনের পাতা ওই টিউমার নিরাময় করতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় টিউমার ধরা পরলে তাতে সজনে পাতা বেটে প্রলেপের মতো ব্যবহার করলে টিউমারের ফোলাভাব কমে। ব্যথা বা আঘাত পেলে, দেহের কোনো অংশ ফুলে উঠলে, একই উপায়ে তা নিরাময় করা সম্ভব। বাত ব্যথা উপশমে সজনে গাছের ছালও বেশ কার্যকর। সজনে গাছের ছাল তুলে তা বেটে রস চিপে নিয়ে এই রস নিয়মিত প্রতিদিন ৪-৬ চা চামচ খেলে বাতের ব্যথা প্রায় ৬৫% উপশম হয়। দাঁতের মাড়ির সমস্যায়, গোড়া থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ি ফুলে যাওয়া সমস্যায় মুক্তি দিতে পারে সজনে পাতা। সজনে পাতা আধা মগ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভাল করে প্রতিদিন কুলকুচা করলে এ ধরণের সমস্যার সমাধান হয়। হেঁচকি উঠা শুরু করলে তা বন্ধ হতে চায় না সহজে। কিন্তু সজনে পাতার রস ৯-১০ ফোঁটা আধ গাস দুধের সাথে মিশিয়ে পান করলে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। পেটে গ্যাস হলে, বদহজম হলে এবং পেটে ব্যথা হলে- সজনের তৈরি তরকারির ঝোল খেলে পেটের গোলমাল অনেক উপশম হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রেজাউল করিম বলেন, পরিবেশ বান্ধব ও অর্থকারী সবজি সজনে চাষে খরচ হয় নগণ্য। এ সবজিতে রোগবালাই নেই বললেই চলে। এতে পর্যাপ্ত পানি ও ওষুধের প্রয়োজন হয় না। চলতি মৌসুমে অকৃষি পতিত জমিসহ রাস্তার দু’পাশে সজনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।