নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ১১ বছর ধরে অ্যানোয়েতা দুর্বোধ্য এক নাম হয়ে ছিল বার্সেলোনার কাছে। রিয়াল সোসিয়াদাদের মাঠে যে কাতালানরা জয়হীন সেই ২০০৭ সালের মে মাসের পর থেকে। পরশুও জেগে উঠেছিল একই শঙ্কা। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজদের কল্যাণে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও ৪-২ গোলে সেই অ্যানোয়েতা ‘ভূত’ তাড়াতে সক্ষম হয় বার্সা।
দুই গোল করে ও একটি করিয়ে ম্যাচের নায়ক লুইস সুয়ারেজ। শেষ ১১ ম্যাচে যার নামের পাশে ১১ গোল। অথচ মৌসুমের শুরুতে তার গোলখরা নিয়ে কত সমালোচনা। শেষ দিকে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক স্ট্রাইকার জার্ড মুলারের ৩৬৫ গোলের রেকর্ড টপকে যান লিওনেল মেসি। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল এখন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের। তাদের আগে পাওলিনহোর গোলে প্রথমার্ধে ব্যবধান কমিয়েছিল বার্সা।
সবচেয়ে বড় কথা শিরোপা দৌড়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল ন্যু ক্যাম্পের দল। ১৯ ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে তারা এগিয়ে ৯ পয়েন্টে। এক ম্যাচ কম খেলা চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান এখন ১৯ পয়েন্টের! ১৯৯০-৯১ মৌসুমে সর্বশেষ এত ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সা। এরপরও সাবধানই আছেন বার্সা কোচ। শিরোপা দৌড়ে অন্যদেরও দেখছেন আর্নেস্তো ভালভার্দে, ‘আমার মতে, এখনই কোনো দল লা লিগা জয়ের আশা ছাড়েনি। আটলেটিকো মাদ্রিদ ছাড়েনি, ভালেন্সিয়াও ছাড়েনি এবং ব্যবধান বেশ বড় ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্তে¡ও রিয়াল মাদ্রিদও নিশ্চয় এমনটা ভাবেনি। আমি আশা ছাড়তাম না। আমার মনে হয়, তারাও এখনও আশা ছাড়েনি।’
ইউরোপের শীর্ষ লিগে একমাত্র দল হিসেবে লিগে এখনো অপরাজিত বার্সাই। একই রাতে লিভারপুলের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটি ৪-৩ গোলে হেরে যাওয়ায় ‘অপরাজিত’ তকমাটা এখন কেবল বার্সার। সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত ভালভার্দের দল। এই ম্যাচ দিয়ে তিনি টপকে গেছেন ২০১০-১১ মৌসুমে পেপ গার্দিওলার টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডকে। এখন তার সামনে সুযোগ ২০১৫-১৬ মৌসুমে লুইস এনরিকের টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড টপকে যাওয়ার।
সোসিয়াদাদের মাঠে ৩৪ মিনিটেই ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। এরপরই ঘুম ভাঙ্গে মেসি-সুয়ারেদের। সুয়ারেজের ক্রস থেকে ¯øাইডের মাধ্যমে ব্যবধান কমান পাওলিনহো। বিরতির ৫ মিনিট পর টমাস ভার্মেলনের ক্রস থেকে হেডের মাধ্যমে স্কোরলাইনে সমতা আনেন সুয়ারেজ নিজে। খানিক বাদে মেসির বাড়ানো বল ধরে দুর্দান্ত লুপিং শটে দলকে এগিয়ে নেন উরুগুয়ান তারকা। শেষ দিকে মেসির ফ্রি-কিক দলের জয় নিশ্চিত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।