রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে
সাতক্ষীরায় খরগোশ পালন করে অনেক বেকার যুবক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সল্প পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে অধিক অর্থ উপার্জন করা সম্ভব বলে জেলায় বেকার যুবকরা খরগোশ পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। জেলায় বিভিন্ন এলাকায় একাধিক খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারে পালন করা হচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের খরগোশ। খরগোশ পালনে তেমন কোনো ঝুঁিক না থাকায় খামারের সংখ্যাও বাড়ছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড় থেকে দুই শতাধিক খরগোশের খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারে দেশি বিদেশি খরগোশ পালন করা হচ্ছে। খামারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সার্বিক সহায়তা দিচ্ছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকার আজমল হোসেন জানান, তিনি গত ১০ থেকে ১৫ বছর খরগোশ পালন করছেন। তার খামারে এখন ১৫০ থেকে ২০০ খরগোশ রয়েছে। সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন ছাড়াও জেলার বাইরে থেকেও তার খামার থেকে খরগোশ কিনতে আসে। প্রতি জোড়া খরগোশ ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা করে বিক্রি করেন তিনি। তিনি বলেন, খরগোশ পালন খুবই লাভজনক ব্যবসা। খামারের খরচ বাদে প্রতি মাসে তার ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হয়। সাতক্ষীরার গোপিনাথপুর গ্রামের প্রদীপ কুমার মন্ডল জানান, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খরগোশ পালনের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রায় ৫ বছর ধরে তার নিজ বসতবাড়িতে খরগোশ পালন করছেন। দেশি এবং বিদেশি শতাধিক খরগোশ রয়েছে তার খামারে। সাতক্ষীরাসহ আশপাশে খুবই চাহিদা রয়েছে খরগোশের। তিনি বলেন, প্রতি মাসে এখান থেকে তার ১০ থেকে ১২ হাজার লাভ হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. শশাংক কুমার জানান, খরগোশ পালন খামার খুবই লাভজনক। স্বল্প পুঁজি বিনিযোগ করে যে কেউ এটি করতে পারে। বিশেষ করে স্বল্প শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা খুব আগ্রহের সাথে খরগোশ পালন করছে। তাছাড়া খরগোশ শুধু শৌখিনভাবে পালন করা হচ্ছে না। এটি আমিষের চাহিদাও মিটাচ্ছে। অন্যদিকে এর মাংসতেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। তিনি আরো বলেন, প্রতি দুই থেকে আড়াই মাসে বাচ্চা দেয়। প্রতিটি মা-খরগোশ এক সাথে ৪ থেকে ৬টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়। একনাগাড়ে ৮ বছর যাবৎ বাচ্চা দেয়। এদের গড়আয়ু ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত হয়। তাছাড়া এদের খাদ্য নিয়েও কোনো সমস্যা হয়না। ঘাশের পাশাপাশি সবজি জাতীয় খাবার এদের প্রধান খাদ্য। বর্ষাকালে ভাইরাস জাতীয় কিছু সমস্যা দেখা দিলেও অন্য কোনো রোগবালাই এদের হয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।