পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংবিধান কোনো ওহী বাণী নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। রাষ্ট্রের ও জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হয় ও করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে সংবিধানের প্রথম ক্ষতি করেছিল আওয়ামী লীগই। তারাই সংবিধানের প্রদত্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজ আবারও সংবিধানের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেদের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। গতকাল (রোববার) দুপুরে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে ডিইউজে সদস্য, মানবাধিকার কর্মী ও সাপ্তাহিক জয়যাত্রার নির্বাহী সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, বর্তমান সরকারের অপশাসনের ফলে রাষ্ট্রের প্রধান তিন স্তম্ভ সংসদ, বিচারবিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ আজ ধ্বংস প্রায়। ফলে দেশ আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন। বর্তমানে যে অপশাসন চলছে তা ১/১১ এর অপশাসনেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। আওয়ামী দুঃশাসনে আজ গণতন্ত্র ধ্বংস প্রায়। জনগণের ভোটাধিকারসহ প্রায় সব অধিকারই কেড়ে নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধানে পারস্পরিক সংঘাতপূর্ণ বিষয়গুলোকেও সংশোধন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত শুধু উন্নয়ন দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না। শুধু উন্নয়নই যদি ক্ষমতায় থাকার মূল বিষয় হতো তাহলে আইয়ূব খানের পতন হতো না। জনগণের ভোটধিকার কেড়ে নিয়ে, কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়ে কোনো স্বৈরাশাসকই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি নেতা বলেন, উন্নয়নের মেলার পর সরকারের পতনের সময়ও চলে এসেছে। দ্রæততম সময়েই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরে আসবে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নজমুল হক নান্নু, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি আবদুল হাই শিকদার, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ডিইউজের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।