পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর কমলাপুরে লোকো রানিং রুমে প্রবেশ করে দুই ট্রেন চালককে মারপিট করেছে হালিম নামে এক ট্রলিম্যান। গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রেলওয়ে রেস্টহাউস সংলগ্ন রানিং রুমের গেটে তালা লাগানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। আহত ট্রেন চালক (লোকো মাস্টার) রবিউল ইসলাম উজ্জ্বল ও সহকারী লোকো মাস্টার আনিসুর রহমানকে রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশ্য পরে নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশের ট্রেন চালকরা শুক্রবার দুপুরের পর ট্রেন চালানো বন্ধ রাখে। এরপর প্রতিটি ট্রেন ৩০ মিনিট বিলম্বে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এর মধ্যেই ঢাকা থেকে প্রতিটি ট্রেনই দেরি করে ছেড়ে যায়। ট্রেন চালকরা জানান, ট্রলিম্যান হালিমের ছেলে রেল শ্রমিক লীগের এক শীর্ষ নেতার ছোট ভাইয়ের বন্ধু হওয়ায় এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। রেল শ্রমিকলীগের প্রভাবশালী নেতারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
আহত দুই ট্রেন চালকের বরাত দিয়ে রেলের রানিং স্টাফরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে ঢাকায় আসেন দুই ট্রেন চালক। ডিউটি শেষ করে তারা রেলওয়ে রেস্ট হাউস সংলগ্ন রানিং রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ট্রলিম্যান হালিম ওই রানিং রুমে আসতে গিয়ে দেখে বাইরের গেটে তালা লাগানো। সে তালা খোলার জন্য চিৎকার করতে থাকলে ট্রেন চালকদের একজন ঘুম থেকে জেগে গেটের কাছে যায়। এসময় ট্রলিম্যান হালিম তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তালা খুলতে বলে। এসময় ট্রেন চালক তার পরিচয় জানতে চাইলে সে ট্রেন চালকের উপর চড়াও হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে হালিমের ফোন পেয়ে তার বুকিং সহকারী ছেলেসহ শ্রমিক লীগ নামধারী আরও কয়েকজন এসে দুই ট্রেন চালককে বেদম প্রহার করে আহত করে। খবর পেয়ে অন্যান্য ট্রেন চালকরা এসে আহত দুজনকে উদ্ধার করে রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। ট্রেন চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রেলওয়ে গেস্ট হাউস সংলগ্ন রানিং রুমে নির্ধারিত কিছু ট্রেনের চালকদের জন্য রুম বরাদ্দ করা আছে। এর বাইরে কারও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। একজন ট্রলিম্যান সেখানে কোনোভাবেই আসার অধিকার রাখে না। তার উপর এভাবে ট্রেন চালকদের মারধর করাকে তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। এ ঘটনার শোনার পর সারাদেশের ট্রেন চালকরা একযোগে কর্মবিরতিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরে উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার আশ্বাসে তারা তা প্রত্যাহার করে আধা ঘণ্টা বিরতিতে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরই মধ্যে শুক্রবার দুপুরের পর ঢাকা থেকে সবগুলো ট্রেন বিলম্বে ছেড়ে যায়। এদিকে, আহত ওই দুই ট্রেন চালক শুক্রবার বিকালে সিল্কসিটি নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা করার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় সিল্কসিটি নিয়ে যারা এসেছিলেন তারাই খানিকক্ষণ বিরতি নিয়ে আবার সিল্কসিটি নিয়ে রওনা করেন। এতে করে ওই দিন সিল্কসিটি প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকা ছেড়ে যায়। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) হাসানুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, যেহেতু ঢাকায় ঘটনা ঘটেছে সেহেতু সেটা দেখার দায়িত্ব ঢাকার মহাব্যবস্থাপকের। তবে ঢাকার মহাব্যবস্থাপককে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গেছে, হালিম একজন সহকারী প্রকৌশলীর ট্রলিম্যান। শ্রমিকলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চলা হালিমের দাপটের কাছে রেলের কর্মকর্তারাও অসহায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।