বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনকালীন সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিদ্যমান সংকটকে আরো ঘনীভূত করে তুলেছে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন- তাতে জাতি ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতি আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রীত্বের এই মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার এক বছর আগেই তিনি যে ভাষণ দেবেন, সে ভাষণে থাকবে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা, জাতীয় সংকট নিরসনে একটি স্পষ্ট রূপরেখা এবং জনগণের উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য থাকবে বিভ্রান্তির বেড়াজালমুক্ত কর্ম পদক্ষেপ।
ফকরুল বলেন, ‘পাকিস্তানের স্বৈর সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান তার শাসনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উন্নয়ন দশক পালন করেছিলেন। গণতন্ত্রহীন তথাকথিত উন্নয়ন জনগণ গ্রহণ করেনি। পরিণতিতে তার মতো ‘লৌহমানব’কে ক্ষমতা থেকে গণঅভ্যত্থুানের মুখে বিদায় নিতে হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারও ‘উন্নয়নমেলা’ করছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস পাকিস্তানি আমলের স্বৈরশাসকের মতো আঁকড়ে রাখার জন্য যে ধরনের চমকের আশ্রয় নিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারও সেই একই পথে হাঁটছে। এ দেশের সচেতন জনগণ সবকিছু জানে ও বোঝে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য বাহুল্যই হবে মাত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।