পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির কারণে পূনরায় ১/১১এর আশঙ্কা থাকলওে এটা বাংলাদেশে আর কোন দিন পূণরাবৃত্তি ঘটানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরেকটি ওয়ান-ইলেভেন হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভুল রাজনীতির কারণে ভয়-আশঙ্কা আছে এই কারণে যে, ওয়ান ইলেভেন থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি কিন্তু বিএনপি নেয়নি। বিএনপি তার বর্তমান অবস্থা জেনে গেছে। তারা জেনে গেছে যে জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার জন্য তাদের কাছে ভাল কোনো উদাহরণ নেই। নির্বাচনের আগেই সারা দেশের আওয়ামী লীগের জোয়ার দেখে বিএনপি বুঝে গেছে যে আগামী নির্বাচনে তাদের পরিণতি কী।
তিনি বলেন, ভোট পাওয়ার মতো কোনো কাজ করেনি। সে কারণে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবে বিএনপি। আওয়ামী লীগ বিএনপির সেই দুরভিসন্ধিতা বাস্তবায়ন করতে দিবে না। বাংলাদেশে আর ১/১১এর পূণরাবৃত্তি ঘটানো যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচন ১৬ জানুয়ারির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রার্থী ঘোষণার আগে কেউ প্রার্থী নন। অনেকে নিজের মতো করে দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন, করছেন। এতে প্রমাণিত হয় না যে, প্রার্থী নির্বাচন হয়ে গেছে। তবে, আতিকুল ইসলাম দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন। সে সময় শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কাজ কর। সিদ্ধান্ত পরে।’
আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রমশ ব্যবসায়ীদের দিকে ঝুঁকছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নেরে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের প্রার্থী, দলীয় নেতা আর নির্বাচন এটার মধ্যে পার্থক্য আছে। এটা রাজনৈতিক স্ট্রাটেজি। স্ট্রাটেজিক এলায়েন্স। নির্বাচনে স্ট্রাটেজিক এলায়েন্স হয়। এই ট্রাটেজিক কারণেই আমরা বিভিন্ন জনের সঙ্গে এলায়েন্স করেছি। এরশাদের সঙ্গে করেছি। বিভিন্ন জনের সঙ্গে করেছি। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন রাজনীতিক কী ব্যবসা করতে পারেন না? তারা কি চাঁদাবাজি করে খাবেন?
এ ছাড়া যেকোনো নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার বিএনপির দুরভিসন্ধি বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি বলুক, তাদের সময়ে তারা কোন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে? নির্বাচন কমিশন দরকার মনে করলে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেবে।
দলকে আধুনিক এবং মাঠ সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, দলের ভেতরে ছোটখাটো সমস্যা থাকতেই পারে। সেকারণে কোথাও কোথাও সম্মেলন হয়নি। তবে দলকে আধুনিক এবং মাঠ সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ভুল স্বীকার করতেও ভয় পায় না। বিএনপি ভুল থেকে কোনো শিক্ষা নেয় না। নিতে পারে না।
কাদের বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায়। ক্ষমতায় থাকলে ছোটখাটো ভুলত্রæটি হতেই পারে। আমাদের সংসদ সদস্য কারাগারে আছে। মন্ত্রীরা আদালতে হাজিরা দেয়। আমরা তুফান সরকারের মতো কোনো কর্মী চাই না। কেউ অপরাধ করলে আমরা দলীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করি না। এ সময় তিনি আট বিভাগে দায়িত্ব পাওয়া নেতাদের দলের ত্রæটি, বিচ্যুতি ও দুর্বলতা বিবেচনা করে কাজ করার আহŸান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, উপ প্রচার আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।