Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনেও তরুণ-তরুণীরা আধিপত্য বিস্তার করবে’

ময়মনসিংহ যুব গেমসে সেনাপ্রধান

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মো: শামসুল আলম খান ময়মনসিংহ থেকে : বাংলাদেশ যুব গেমসের মাধ্যমে আজকের তরুণ-তরুণীরাই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হবে, এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এসবিপি, এনডিসি, পিএসসি।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের এ সভাপতি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে ময়মনসিংহ বিভাগের উদীয়মান খেলোয়াড়রা অনুশীলনের মাধ্যমে তাদের প্রতিভা ও মেধা বিকাশে পুন:স্ফুরণ ঘটাবে। এ গেমস তরুণ-তরুণীদের নিজেদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণেও তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় যুব গেমসের বিভাগীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ যুব গেমসে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজের উচ্ছ¡াসের কথা তুলে ধরে ময়মনসিংহের জামালপুরে নিজের শৈশব জীবনেরও স্মৃতিচারণ করেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে আমার আতিœক সম্পর্ক রয়েছে। ষাটের দশকে আমি জামালপুরে অনেক দিন ছিলাম। আমার বাবা সেখানে চাকরি করতেন। ব্রক্ষপুত্র নদের তীরে বকুলতলায় আমরা থাকতাম।
কাবাডি প্রতিযোগিতায় আজ ময়মনসিংহ ও জামালপুরের খেলা হলো। এ খেলা উপভোগ করতে গিয়ে আমি যেন ঠিক শৈশবেই ফিরে গেলাম। শৈশবের দিনগুলোর কথা আমার ভীষণ মনে পড়ছিল।
গত ১৮ ডিসেম্বর অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ যুব গেমসের শুভ সূচনার কথা জানিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেন, সফলতার সঙ্গে প্রথম পর্যায়ে জেলা পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। ৬৪ জেলা থেকে বিভিন্ন ডিসিপ্ল্যানে ২৩ হাজার ২৬০ জন খেলোয়াড় স্বত:স্ফূর্ততার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছে। যা আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের তরুণ-তরুণীদের খেলোধুলার প্রতি আগ্রহেরই বহি:প্রকাশ।
খেলাধুলার প্রতি অনুরাগ, প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও কঠোর অনুশীলন একজন খেলোয়াড়কে সাফল্যের শিখরে পৌছাতে সহায়তা করে, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে ময়মনসিংহ বিভাগের সব ক’টি জেলার যে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে আজকে তার সমাপ্তির পর্যায়ে এসে দেখলাম।
খেলার মান, ১’শ মিটার দৌড় ও কাবাডি প্রতিযোগিতা দেখে আমি খুবই উৎসাহিতবোধ করছি। বাংলাদেশের এ তরুণ-তরুণীরা ভবিষ্যতে দেশ-বিদেশে সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে। তাদেরকে আমরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড়ররা বিভিন্ন ম্যাডেল নিয়ে আসবে।
পরে সেনা প্রধান ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ৫ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল ক্যান্টনম্যান্টের জিওসি মেজর জেনারেল সাজ্জাদুল হক, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড.আক্কাছ উদ্দিন ভূঞা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আ’লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নূরে আলমসহ ময়মনসিংহ ক্যান্টনম্যান্টের সিনিয়র কর্মকর্তাসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেনা প্রধান অ্যাথলেটিক্স ও কাবাডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘আন্তর্জাতিক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ