নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : সংকটের হকি সংকটেই রয়ে গেল। এবার অ্যাডহকের যাতাকলে পড়লো হকি। নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষে নতুন নির্বাচন না করে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) অ্যাডহক কমিটি গঠন করলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। নানা টালবাহানায় সময় পেরিয়ে গেলেও এনএসসি যখন হকির স্থগিত নির্বাচনের পুন:তফসিল ঘোষনা করছিল না, তখনই ক্রীড়াবোদ্ধাদের ধারনা জন্মে, অ্যাডহক কমিটির দিকেই ঝুকছে বাহফে। তাদের ধররাই সত্য হলো। বর্ষীয়ান হকি সংগঠক আব্দুস সাদেককে সাধারণ সম্পাদক করে গতকাল সকালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাহফের ৩১ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করলো এনএসসি। এই কমিটিতে যোগ্যরা অবহেলিত হলেন। নূন্যতম সদস্য হিসেবে জায়গা হয়নি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কোন প্রতিনিধির। অথচ সারা বছর জুড়েই কোন না কোনভাবে বিকেএসপির উপরই নির্ভর করতে হয় বাহফেকে। অতীতে ও বর্তমানে জাতীয় দলের পক্ষে যারা খেলছেন তারা সকলেই ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র।
শুধু তাই নয়, নতুন অ্যাডহক কমিটিতে পাশ কাটানো হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে হকির জন্য কোটি টাকা খরচ করা সংগঠক শফিউল্লাহ আল মুনীরকে। হাজী মোহাম্মদ হুমায়ুনকেও রাখা হয়নি। জায়গা পাননি জাতীয় দলের সর্বশেষ নির্বাচক কমিটির কোন সদস্যই। সাবেক তারকা খেলোয়াড় কামরুল ইসলাম কিসমত, মামুন-উর রশিদ, রফিকুল ইসলাম কামাল ও আবু জাফর তপনরা রয়ে গেলেন কমিটির বাইরে। নুতন করে জায়গা পেলেন একেএম মমিনুল হক সাঈদ, প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, সাজেদ এ এ আদেল, মাহবুব এহসান রানা ও মাহবুব হারুনসহ বেশ ক’জন কর্মকর্তা। এই কমিটি দেশের হকি উন্ন্য়নে কি ভুমিকা রাখে তাই এখন দেখবার বিষয়। তবে হকিবোদ্ধারা মনে করছেন, গেল ক’বছর ধরে দেশের হকিতে যে অশনি সংকেত ছিলো তা রয়েই গেছে। কারণ নতুন অ্যাডহক কমিটিতে এমন কিছু সদস্য আছেন যাদের অতীতে কাজ করার কোন অভিজ্ঞতাই নেই। হকিকে এগিয়ে নিতে অবশ্যই অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। যোগ্যরা যে অবহেলিত তার প্রমাণ কমিটিতে মামুন-উর রশিদের জায়গা না পাওয়া। মাত্র তিন মাস আগে যিনি দশম এশিয়া কাপে টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ঘরের মাঠে ৩২ বছর পর এশিয়া কাপের সফল আয়োজনে মামুনকে সাধুবাদ জানানো হয় অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা না দিয়ে।
বিকেএসপির সদ্য সাবেক হওয়া প্রধান কোচ কাওসার আলী কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না নতুন কমিটিতে বিকেএসপির কেউ নেই। তিনি বলেন, ‘এটা কোনভাবেই মানতে পারছি না। যেখান থেকে হকির চাকা ঘুরে সেখান থেকে কোন প্রতিনিধি থাকবে না- এটা কেমন কথা। সারা বছর বিকেএসপি থেকে সাহায্য নেয়া হবে আর চেয়ার বদলের সময় অবমুল্যায়ন করা হবে। আমি জানিনা তারা কোন ক্রাইটেরিয়ায় এটি করেছে। স্পেশালি নীতি নির্ধারকদের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।’
হকির নতুন অ্যাডহক কমিটি- সভাপতি এয়ার মার্শাল আবু এসরার। পাঁচ সহ-সভাপতি ড. মাহফুজুর রহমান, সাজেদ এ আদেল, রশিদ শিকদার, প্রতাপ শংকর হাজরা ও একেএম মমিনুল হক সাঈদ। সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক, দুই যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব এহসান রানা ও বদরুল ইসলাম দিপু এবং কোষাধ্যক্ষ কাজী মইনুজ্জামান পিলা। এছাড়া সদস্যরা হলেন- ইউসুফ আলী, আহমেদ রিপন, আনোয়ার হোসাইন খান, রফিকুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসাইন চৌধুরী পাপ্পু, মো. ইউসুফ, তৌফিকুর রহমান রতন, শফিকুল ইসলাম লিটু, সৈয়দ তারিকুল ইসলাম শান্ত, নাজিরুল ইসলাম নাজু, নজরুল ইসলাম, মাহবুব হারুণ, আহমেদ আসিফুল হাসান, আলমগীর আলম, মোস্তবা জামান পপি, আবু মোহাম্মদ নুরুর রহমান দুর্বার, খাজা তাহের লতিফ মুন্না, তারেক আহমেদ আদেল, টুটুল কুমার নাগ, এম এম দেলোয়ার হোসেন, হারুন অর রশিদ রিংকু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।