Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনিময় অযোগ্য নোট পাওয়া গেলেই জরিমানা

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রতি কঠোর নির্দেশনা

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : যথাযথভাবে নোট বাছাই (সর্টিং) করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশনা মানছে না দেশের বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংক। নতুন, পুরনো, ছেঁড়া, ফাটা সব নোটের ক্ষেত্রে হযবরল পাকিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করছে ব্যাংকগুলো। এতে শ্রম ও সময়ের অপচয় ছাড়াও সরাসরি নোট ধ্বংসকরণের উদ্দেশ্যও ব্যহত হচ্ছে। এমন অবস্থায় সরাসরি নোট ধ্বংসকরণ কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদনের লক্ষে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আরো কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জমাকৃত নোট যাচাই-বাছাইকালে বিনিময় অযোগ্য প্রমাণিত হলেই ব্যাংকগুলোকে বাধ্যতামূলক নির্দিষ্ট অংকের জরিমানা গুণতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হিসাব হতে এ অর্থ কেটে (বিকলন) নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর এক সার্কুলারে ব্যাংকগুলোকে তিনভাগে বিভক্ত করে অর্থাৎ পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য ও মিউটিলেটেড নোট আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের সাথে অপ্রচলনযোগ্য, মিউটিলেটেড ও দাবীযোগ্য নোট, অপ্রচলনযোগ্য নোটের সাথে পুঃপ্রচলনযোগ্য, মিউটিলেটেড ও দাবীযোগ্য নোট এবং মিউটিলেটেড নোটের সাথে পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য ও দাবীযোগ্য নোট যেন মিশ্রিত না থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে বলা হয়। এ নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নেগেটিভ পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়। কিন্তু ঐ নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালিত না হওয়ায় বিনিময় অযোগ্য নোট সরাসরি ধ্বংসকরণ প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি ভল্টে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে জমাকৃত মিউটিলেটেড এবং অপ্রচলনযোগ্য নোট যাচাই-বাছাইকালে প্রায়শই বিনিময় অযোগ্য নোট যেমন-বহুখন্ডে খন্ডিত নোট, বিল্ট-আপ নোট, জাল নোট এবং নোট কম পাওয়ার মত অনিয়ম পাওয়া যায়। এ ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক সেদিন আর কোন নোট ধ্বংস করা সম্ভব হয় না। এতে শ্রম ও সময়ের অপচয় ছাড়াও সরাসরি নোট ধ্বংসকরণের উদ্দেশ্যও ব্যহত হয়। তাই এখন থেকে জমাকৃত অপ্রচলনযোগ্য ও মিউটিলেটেড নোটের বান্ডিল নমুনা ভিত্তিতে যাচাইকালে বিনিময় অযোগ্য নোট পাওয়া গেলে তা সরাসরি ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত সকল নোটের ওপর সমানুপাতে বিনিময় অযোগ্য নোট এবং সংখ্যাগত ঘাটতি নোটের সংখ্যা হিসাব করে আদায়যোগ্য অর্থের পরিমাণ (জরিমানা) নির্ধারণ করা হবে। এতে আরো বলা হয়, আপাতত ৫, ১০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট সরাসরি পদ্ধতিতে ধ্বংস করা হবে। এক্ষেত্রে ১ দিনে যে পরিমাণ নোট সরাসরি ধ্বংস করা হবে, তার মধ্যে ৫ টাকার মূল্যমানের নোটের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ, ১০ টাকা নোটের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ও ২০ টাকা নোটের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে পৃথক করে যথানিয়মে যাচাই ও পরীক্ষা করা হবে। দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে পৃথক করা নোটের মধ্যে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের পরিমাণ শতকরা ১০ ভাগ বা তার বেশি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সমুদয় নোট পরীক্ষা ও যাচাই করে প্রাপ্ত পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের মোট মূল্যমানের ওপর শতকরা ১ ভাগ জরিমানা আরোপ করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যিক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ