পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিয়ে করার ওপর দেশটির নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। ২০১৪ সালের আইনে নিবন্ধনদের বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের দম্পতিদের মধ্যে বিবাহ নিবন্ধন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার বলছে, নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য বিবাহ আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ১৮ বছরের এক রোহিঙ্গাকে বিয়ে করার পর ২৬ বছরের এক ছেলের বাবার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, অক্টোবরে বিয়ের সংবাদ পাবার পর থেকে শোয়েব হোসেন জুয়েলকে খুঁজছিল পুলিশ।
স্থানীয় এক আলেমের গৃহে আশ্রয় নেয়া অবস্থায় জুয়েল নামের ওই ব্যক্তি রোহিঙ্গা মহিলার সাথে সাক্ষাত করেন। বিয়ের আগে একটি শরণার্থী শিবিরে মেয়েটিকে খুঁজতে তার গ্রাম থেকে শত শত কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে যুবকটি। সংখ্যালঘু মুসলিম নিধন শুরুর পর সীমান্ত পথে লাখ লাখ মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের পর এটি বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গার মধ্যে প্রথম বিয়ের ঘটনা।
২০১৪ সালের আইনের ব্যাখ্যায় সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, তাদের বিশ্বাস, বিয়ের সার্টিফিকেটগুলো বাংলাদেশী পাসপোর্টসহ আইনগত দলিল সংগ্রহে ব্যবহার করা হতে পারে। রোহিঙ্গা বিয়ে করা কাউকে পাওয়া গেলে তাকে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হতে পারে।
জুয়েলের বাবা বাবুল হোসেন তার পুত্রের বিবাহের পক্ষাবলম্বন করে আইনটির বিরুদ্ধে একটি আপিল করেন।
তিনি গত অক্টোবর মাসে এএফপিকে বলেন, ‘বাংলাদেশীরা যদি খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষদের বিয়ে করতে পারে, তাহলে রোহিঙ্গা বিয়ে করায় আমার ছেলের ভুল কোথায়?’ ঢাকার হাইকোর্ট সোমবার তার আবেদন খারিজ করে তাকে মামলার খরচ বাবদ ১ লাখ টাকা পরিশোধের আদেশ দেন। বাবুল হোসেনের ছেলেকে আটক না করার একটি অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত। রায়ের পর দম্পতির আরও আইনী পদক্ষেপ নেয়ার ইচ্ছা আছে কি না তা স্পষ্ট নয়। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।