নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দলে ঢুকেছিলেন বোলার হিসেবে। অভিষেকে ইতিহাস গড়লেন ব্যাটিংয়ে! তবে মূল কাজ বোলিংয়ে ভীষণ বিবর্ণ। বল হাতে সেই ব্যর্থতা আরও প্রকট ওয়ানডেতে। তাই থিতু হতে পারেননি দলে। তবে এবার দলে ফিরে নিজেকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন আবুল হাসান। বদলাতে চান ভাগ্য। ২০১২ সালের নভেম্বরে টেস্ট অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন দশে নেমে। তবে ব্যাট হাতে করা ১১৩ রান আবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বল হাতে। ১১৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।
মূল পরিচয় যেহেতু বোলার, তাই দলে থাকতে হতো বোলিং দিয়েই। কিন্তু ৩ টেস্টে উইকেট মোটে ৩টি। ওয়ানডেতে তো উইকেটের মুখই দেখতে পারেননি। ৬টি ওয়ানডে খেলেও উইকেট নেই, যা যেকোনো পেসারের জন্য বিব্রতকর। পারফরম্যান্স এমন বলে দলে থিতুও হতে পারেননি কখনও। প্রায় তিন বছর পর এবার সুযোগ পেয়েছেন ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের বাংলাদেশ দলে। এই সুযোগে নিজের ক্যারিয়ার নতুন করে সাজাতে চান আবুল হাসান, ‘এবার আমি আত্মবিশ্বাসী। আসলে আগে একটু আলাদা ছিলাম। এখন অনেক কিছুই বদলে গেছে। যদি চান্স পাই তাহলে নিজেকে প্রমাণ করব।’
বদলটা কোথায়, সেটির কিছু নমুনাও শোনালেন ২৫ বছর বয়সী পেসার, ‘লাইন-লেংথ ভালো হয়েছে। বোলিং নিয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি অফ সিজনে। বিপিএলেও অনেক বেশি কাজ করেছি ওয়াকার ভাইয়ের সঙ্গে (সিলেট সিক্সর্সের মেন্টর ওয়াকার ইউনিস)।’ তার সঙ্গে কাজ করেছেন রিভার্স সুইং নিয়ে, ‘বিপিএল আসলে এই জায়গায় আসার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল আমার কাছে। ওয়াকার ভাই ছিল আমাদের দলে। আমার অনেক আত্মবিশ্বাস ছিল যে ওয়াকার ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে স্কিলগুলোর উন্নতি করতে পারব। রিভার্স সুইংটা নিয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি ওয়াকার ভাইয়ের সঙ্গে। ¯েøা বল নিয়েও কাজ করেছি।’
আবুল হাসানের দাবি, ওয়াকারের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো বাংলাদেশের অনুশীলনে কাজে লাগাতে পারছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী। এখানে এখন প্রমাণ করার সময় এসেছে। আমি প্রমাণ করতে পারছি, সবচেয়ে বড় জিনিস হলো এটিই।’
রিভার্স সুইংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হলো বলে যথেষ্ট গতি থাকা, যেটি আবুল হাসানের খুব বেশি নেই। তবে সেটি তিনি পুষিয়ে নিচ্ছেন অন্য ভাবে, ‘সবকিছুর মূল অস্ত্র হলো স্ট্রেংথ। ওয়াকার ভাই একটি কথাই বলেছিল আমাকে যে, ¯্রফে মেইনটেইন করতে হবে নিজেকে। বোলিং করতে থাকা। কিছু তো আলাদা ব্যাপার আছেই, যেমন বল ধরার মধ্যে।’
বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে এখন পেস বোলিং নিয়ে নির্দেশনা দেওয়ার মত আছেন অন্তত তিনজন। জাতীয় দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ আছেন, সঙ্গে যোগ হয়েছেন হাই পারফরম্যান্স বোলিং কোচ চম্পাকা রমানায়েকে। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ পেস বোলিং প্রধান কোচ। আবুল হাসান জানালেন, শিখছেন তিনি তিনজনের কাছ থেকেই, ‘এখানে পেস বোলিং ক্যাম্পে চম্পাকার সঙ্গে অনেক দিন কাজ করছি। এখনও করছি। ওয়ালশের সঙ্গে আগে ওরকম কাজ করার সুযোগ হয়নি আমার। উনার সঙ্গে কাজ করছি। চাচার (খালেদ মাহমুদ) সঙ্গে তো আগে থেকেই আছি। তিনজনই একই কথাই বলেন, লাইন ও লেংথ। ওইটা নিয়েই বেশি কাজ করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।